চার জেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত চার
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : বন্দুকযুদ্ধদেশের চার জেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে চারজন নিহত হয়েছেন। বুধবার দিনগত রাত থেকে বৃহস্পতিবার ভোর পর্যন্ত ঢাকা, চট্টগ্রাম, মেহেরপুর ও কক্সবাজারে এসব ঘটনা ঘটে। আমাদের প্রতিবেদক ও জেলা প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর-
ঢাকা : রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানাধীন ঢাকা উদ্যান এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে র্যাযপিড অ্যাকশন ব্যাটেলিয়ন-র্যা ব। নিহতের নাম নবী হোসেন (৪৭)। ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধারের দাবি করেছেন র্যােব সদস্যরা।
বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে বলে জানান র্যারবের আইন ও গণমাধ্যম পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘ঢাকা উদ্যান এলাকার একটি চেকপোস্টে ভোর ৫টা ১৫ মিনিটে একদল অস্ত্রধারী মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে র্যাটব সদস্যদের গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এসময় নবী হোসেন নামে এক মাদক ব্যবসায়ী নিহত হন। মাদক ব্যবসায়ীদের গুলিতে দুইজন র্যায়ব সদস্য আহত হন। র্যাাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বিদেশি পিস্তল, গুলিসহ ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করেছেন।’
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার ছোট ছনুয়া এলাকায় র্যা বের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে দেলোয়ার হোসেন (৩২) নামে এক জলদস্যু নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোর সাড়ে ৫টার দিকে ছোট ছনুয়া এলাকার চেমটকালীতে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-৭ এর সহকারী পরিচালক মাশকুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন। নিহত দেলোয়ারের নামে হত্যা, ডাকাতি, দস্যুতাসহ বিভিন্ন অপরাধে ছয়টি মামলা রয়েছে বলে তিনি জানান।
তিনি বলেন, ‘জলদস্যুদের একটি সংঘবদ্ধ চক্র ছনুয়া এলাকায় একত্রিত হয়ে ডাকাতির জন্য পরিকল্পনা করছিল। এসময় ওই সময় ওই এলাকা দিয়ে র্যা বের একটি টহল টিম যাওয়ার সময় জলদস্যুরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যা ব সদস্যরা পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে জলদস্যুরা পালিয়ে গেলে সেখানে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দেলোয়ারকে পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার মৃত ঘোষণা করেন।’ দেলোয়ার জলদস্যুদের গুলিতে নিহত হয়েছেন বলে তিনি জানান।
মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে দুই পক্ষের কথিত গোলাগুলিতে মাদক কারবারী ফজলুর রহমান ওরফে ফজু (৪৫) নিহত হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত ফজলুর রহমান ফজু গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামের শামসুল ইসলামের ছেলে। মাদক ব্যাবসায়ীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে এ ঘটনা ঘটেছে বলে ধারণা করছে পুলিশ।
গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার জানান, ‘হাড়াভাঙ্গা মাদ্রাসার কাছে মাদক কারবারীদের দুই পক্ষের গোলাগুলির খবর পেয়ে পুলিশের কয়েকটি দল ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তারা পালিয়ে পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ একজনের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। একইসঙ্গে একটি ওয়ান শুটারগান ও এক কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় লোকজন নিহত ব্যাক্তির নাম ফজলুর রহমান ফজু বলে শনাক্ত করে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।’
কক্সবাজার : কক্সবাজারের টেকনাফ পুলিশের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে আবুল কাশেম (৩২) নামের একজন ইয়াবা কারবারি নিহত হয়েছে। এসময় আহত হয়েছে তিন জন পুলিশ সদস্য। ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, বুলেট ও ইয়াবা উদ্ধার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) ভোর রাত ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত আবুল কাশেম (৩২) ওই এলাকার আনু মিয়ার ছেলে। তার বিরুদ্ধে ইয়াবা কারবারের অভিযোগে ছয়টি মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ জানান, গভীর রাতে টেকনাফ মডেল থানা পুলিশ হোয়াইক্যং আবুল কাশেমকে নিয়ে পশ্চিম সাতঘরিয়া পাড়া পাহাড়ে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার অভিযানে যায়। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কাশেমের সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এএসআই অহিদ উল্লাহ, কনস্টেবল হাবিব হোসাইন ও তুহিন আহমেদ আহত হয়। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর গোলাগুলি থামলে পুলিশ ঘটনাস্থল তল্লাশী করে ২টি দেশীয় তৈরি এলজি, ৯ রাউন্ড তাজা কার্তুজ, ৩ হাজার ৪শ ইয়াবাসহ গুলিবিদ্ধ কাশেমকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পথে কাশেম মারা যায়। মৃতদেহের ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/ এপ্রিল ১১, ২০১৯)