রাফি হত্যা মামলায় এবার শাহাদাত গ্রেফতার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক:আগুনে পুড়িয়ে নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যা মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার ঘনিষ্ঠ শাহাদাত হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) একটি বিশ্বস্ত সূত্র জানিয়েছে, আজ শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে একটার দিকে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার আরেক ঘনিষ্ঠ নুর উদ্দিনকে ময়মনসিংহের ভালুকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। আগেই জানানো হয়েছে, গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার হবিরবাড়ি ইউনিয়নের আমতলী এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই।
প্রত্যক্ষদর্শী শফিকুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তি জানান, পিবিআই আকবর নামের এক ব্যক্তির বাড়ি থেকে নুর উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে ঢাকার পথে রওনা দেয়। আকবরের গ্রামের বাড়ি ও নুরু উদ্দিনের বাড়ি সোনাগাজীর একই এলাকায়। নুরু উদ্দিন আকবরের বাড়িতে আশ্রয় নিয়েছিলেন।
গতকাল রাতে রাজধানীর ফকিরাপুল থেকে মাকসুদ আলমকে গ্রেপ্তার করে পিবিআই। মাকসুদ সোনাগাজী পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি তিনি নিহত নুসরাতের মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদের সদস্য। মাকসুদ নুসরাত হত্যা মামলার ৪ নম্বর আসামি। আটজনের নাম উল্লেখ করে এই মামলায় অজ্ঞাত চার থেকে পাঁচজনকে আসামি করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত এ ঘটনায় অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাসহ ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এদিকে পিবিআইয়ের প্রধান বনজ কুমার মজুমদার বলেন, আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পিবিআইয়ের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই অভিযুক্ত সবাই গ্রেপ্তারের আওতায় চলে আসবে।
মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাতকে যৌন নিপীড়ন ও পরে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ এ এস এম সিরাজ উদ দৌলা এবং ইংরেজির প্রভাষক আফসার উদ্দিনের এমপিও স্থগিত করেছে সরকার। এর ফলে তাঁরা বেতন-ভাতার সরকারি অংশ পাবেন না।
৬ এপ্রিল ওই মাদ্রাসার প্রশাসনিক ভবনের ছাদে নুসরাতের শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয় দুর্বৃত্তরা। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই দিনই তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নেওয়া হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে নুসরাত মারা যান। এর আগে ২৭ মার্চ অধ্যক্ষ সিরাজের বিরুদ্ধে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মামলা করেন মেয়েটির মা। মৃত্যুর আগে গত রোববার নুসরাত চিকিৎসকদের কাছে বলেছিলেন, নেকাব, বোরকা ও হাতমোজা পরা চারজন তাঁর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। ওই চারজনের একজনের নাম শম্পা।
(দ্য রিপোর্ট /টিআইএম/১৩ এপ্রিল, ২০১৯)