আইপিএলে কলকাতাকে পেছনে ফেলল হায়দরাবাদ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : আইপিএলে রশিদ খানের ঘূর্ণিতে হারের বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসেই কলকাতা নাইট রাইডার্সকে পেছনে ফেলল সাকিব আল হাসানের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ।
রশিদ খানের অসাধারণ স্পেলে পয়েন্ট তালিকায় শীর্ষ দল চেন্নাই সুপার কিংসকে ১৩২ রানে আটকে ফেলে হায়দরাবাদ। পরে হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ওয়ার্নার-বেইরস্ট্রো বাকি কাজটা সারেন।
এ জয়ের ফলে কলকাতা নাইট রাইডার্সকে পেছনে ফেলে ৮ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে ৫ নম্বরে উঠে এসেছে হায়দরাবাদ। কলকাতারও পয়েন্ট ৮, তবে তারা রানরেটে পিছিয়ে।
বুধবার পর্যন্ত ১৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। দিল্লি, মুম্বাই ও পাঞ্জাবের পয়েন্ট ১০ করে। তবে রান রেটে এগিয়ে থাকায় টেবিল পয়েন্টে দ্বিতীয় দিল্লি, তৃতীয় মুম্বাই ও চতুর্থ স্থানে রয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
প্রসঙ্গত, রশিদ ঘূর্ণির পর ওয়ার্নারের দুরন্ত ব্যাটিংয়ে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে বিশাল জয় পেয়েছে সাকিবের সানরাইজার্স হায়দরাবাদ। যদিও প্রথম ম্যাচ খেলার পর থেকে সাইড বেঞ্চে বসেই সময় কাটছে সাকিব আল হাসানের। ১৩৩ রানের টার্গেটে খেলতে নেমে ১৯ বল হাতে রেখেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় হায়দরাবাদ।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেন জনি বেইরস্ট্রো। তিনি ৪৪ বলে ৬১ রানের ঝলমলে ইনিংস উপহার দেন। তবে লো স্কোরিং ম্যাচে জয়ের আসল কাজটি করে দিয়ে গেছেন ডেভিড ওয়ার্নার। অস্ট্রেলিয়ান এ ব্যাটসম্যান মাত্র ২৫ বলে ৫০ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। চেন্নাইয়ের পক্ষে চার ওভার বোলিং করে মাত্র ২০ রান দিয়ে মূল্যবান দুটি উইকেট শিকার করেন দক্ষিণ আফ্রিকান স্পিনার ইমরান তাহির।
বুধবার হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করে চেন্নাই সুপার কিংস। এদিন দলের নেতৃত্ব দেন সুরেশ রায়না।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে রশিদ খানের স্পিনে কাবু হয়ে পাঁচ উইকেটে ১৩২ রানেই গুটিয়ে যায় চেন্নাই। আইপিএলের চলতি আসরে আগে ব্যাট করে এই প্রথম এত কম রানে থেমে গেল পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকা এ দলটি।
এদিন দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৫ রান করেন চেন্নাইয়ের দক্ষিণ আফ্রিকান ওপেনার ফাফ ডু প্লেসিস। এছাড়া ৩১ রান করেন অন্য ওপেনার শেন ওয়াটসন। এই দুই ওপেনার উদ্বোধনীতে ৫৯ বলে ৭৯ রান করেন। এরপর ২২ রান সংগ্রহ করতে ৫ ব্যাটসম্যানের উইকেট হারায় চেন্নাই।
হায়দরাবাদের হয়ে ৪ ওভারে ১৭ রানে ২ উইকেট শিকার করেন রশিদ খান। এছাড়া একটি করে উইকেট নেন খালেদ আহমেদ, শাহবাজ নাদিম ও বিজয় শঙ্কর।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ১৮, ২০১৯)