দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : রাজধানীর ওয়ারীতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীকে অচেতন করে তুলে নিয়ে যাওয়ার সময় হানিফ (২৫) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। ওই ছাত্রী বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। ওই ছাত্রী পরিবারের সঙ্গে ওয়ারী বনগ্রাম এলাকায় থাকত। স্থানীয় একটি স্কুলেই সে পড়াশোনা করে।

এ ব্যাপারে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ওয়ারী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সুকান্ত বিশ্বাস গণমাধ্যমকে বলেন, ‘মেয়েটির বাসার সিঁড়ি থেকে হানিফ তাকে অচেতন করে নিয়ে যাওয়ার সময় আশপাশের লোকজন ধরে ফেলে। পরে আমরা সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে হানিফকে আটক করি। বর্তমানে হানিফ থানায় আছে। মেয়েটিকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

তিনি বলেন, ‘হানিফ একেক সময় একেক কথা বলছেন। কখনো বলছেন তিনি বংশালে থাকেন, কখনো বলছেন অন্য কোথাও থাকেন। বিস্তারিত তথ্য তাঁর কাছে থেকে এখনো উদঘাটন করা যায়নি। আর মেয়েটি তো এখনো অসুস্থ। সুস্থ হলে তার জবানবন্দি নেওয়া হবে।’

এদিকে স্কুলছাত্রীর বাবা হাসপাতালে সাংবাদিকদের জানান, তাঁরা খুব গরিব। কারখানায় ভাত বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তাঁর চার মেয়ে আর দুই ছেলে। ছেলেরা কুমিল্লায় দেশের বাড়িতে থাকে। দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দিয়েছেন। আর দুই মেয়ে তাঁর সঙ্গেই থাকে।

স্কুলছাত্রীর বাবা আরো বলেন, ‘রাতে বাসার দ্বিতীয় তলার সিঁড়িতে গিয়ে হানিফ আমার মেয়েকে ডাক দেয়। মেয়েটি বেরিয়ে এলে একপর্যায়ে হানিফ তাকে জাপটে ধরে মুখে রুমাল দিয়ে দেয়। কোনোমতে আমার মেয়ে চিৎকার দিলে আমরা সবাই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। পরে হানিফকে ধরে ফেলি। এর মধ্যে আমার মেয়ে আস্তে আস্তে অচেতন হয়ে পড়ে। পরে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে হানিফকে আটক করে নিয়ে যায়। হানিফ নামের ছেলেটিকে আমরা আগে কখনো দেখিনি।’

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/এপ্রিল ২৫, ২০১৯)