লাবণ্যের মৃত্যুর ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক আটক
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: সড়ক দুর্ঘটনায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর ঘটনায় ঘাতক কাভার্ড ভ্যানের চালককে আটক করা হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে কাভার্ড ভ্যানটিও।
তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। রোববার শ্যামলীতে অবস্থিত নিজ কার্যালয়ে (২২/৫, খিলজি রোড, শ্যামলী, মোহাম্মদপুর) সাংবাদিকদের বিস্তারিত জানানো হবে বলেও জানান তিনি।
গত বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টায় শেরেবাংলা নগর থানাধীন হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের সামনে কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির ছাত্রী ফাহমিদা হক লাবণ্য (২১) নিহত হন।
ওই ঘটনায় পলাতক উবার মোটরবাইকের চালক সুমন হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে আটক করে পুলিশ। পুলিশি হেফাজতে সুমনকে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। একই সঙ্গে লাবণ্যকে বহনে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটিও (ঢাকা-মেট্রো-হ-৩৬-২৩৫৮) হেফাজতে নেয় পুলিশ।
ওই সময় ডিসি বিপ্লব কুমার সরকার জানান, লাবণ্যের মৃত্যুর ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা হয়েছে। মূল অভিযুক্ত কাভার্ড ভ্যানচালক পলাতক। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।
লাবণ্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর প্রতিবাদ এবং নিরাপদ সড়কের দাবিতে শনিবার মানববন্ধন করেন তার সহপাঠীরা। শনিবার বেলা দেড়টার দিকে মহাখালী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে মানববন্ধনে বিভিন্ন ধরনের প্ল্যাকার্ড হাতে ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধনে অংশ নেন তারা।
মানববন্ধনে সহপাঠীদের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ডে উল্লেখ করা হয়, ‘ঘুম ভাঙেনি বিবেকের। ঘুমন্ত বিবেক নিয়ে সড়কে চলাচল করা বিপজ্জনক; এর বড় উদাহরণ লাবণ্যর অবেলায় চলে যাওয়া। অব্যবস্থাপনার সড়কে থামেনি মৃত্যুর মিছিল। জানি না বাইরে থেকে ঘরে নিরাপদে ফিরতে পারব কিনা! বাইরে থেকে বাড়ি ফিরতে না পারলে আমাকে ক্ষমা করিস মা।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ২৭, ২০১৯)