দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বসিলার টিনশেড বাসার একটি রুম ১৫০০ টাকায় ভাড়া নিয়েছিল দুই জঙ্গি সুজন ও সুমন। তারা দেড় মাস আগে বাসা ভাড়া নিলেও নিয়মিত ওই বাসায় থাকতো না।

র‌্যাবের অতিরিক্ত মহা-পরিচালক কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।

কর্নেল জাহাঙ্গীর বলেন, সুজন ও সুমন নামে দেড়মাস আগে ১৫০০ টাকায় বাসা ভাড়া নেয় দুই জঙ্গি। প্রথমে ব্যাচেলর ভাড়া দিতে না চাইলেও নিজেদেরকে বিবাহিত বলে জানায় তারা। দেড় মাস ধরে বাসা ভাড়া নিলেও নিয়মিত তারা থাকতেন না। তবে গত তিন চারদিন ধরে তারা নিয়মিত বাসায় ছিলেন।

বাসা ভাড়া নেওয়ার সময় নিয়ম অনুযায়ী ভাড়াটিয়াদের কোন তথ্যই ওই দুইজন দেননি।বাসার কেয়ারটেকার সোহাগকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে কর্নেল জাহাঙ্গীর আলম বলেন, তারা বলেছিল তাদের স্ত্রী আছে, খুব শীঘ্রই নিয়ে আসবেন। তারা একজন বেসরকারি চাকরিজীবী এবং একজন ভ্যানচালক পরিচয় দিয়েছিলেন।

তিনি বলেন, তাদের আসল পরিচয় এবং পেশা কী ছিলো, আমরা তা জানার চেষ্টা করছি।

এরআগে বাড়ির মালিক সম্পর্কে জানতে চাইলে র‌্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার (এসপি) মহিউদ্দিন ফারুকী বলেন, বাড়ির মালিক আব্দুল ওহাবের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি। তিনি এখন ঢাকার বাইরে। তিনি খবর পেয়ে আসছেন। তার কাছ থেকেই ভাড়াটিয়া সম্পর্কে প্রাথমিক তথ্য নেয়া হয়েছে।

ওই বাসার আরেক বাসিন্দা জুনায়েদ জানান, বাসাটিতে চারটি রুমে চার পরিবার থাকেন, তার একটিতে পরিবারসহ ভাড়া থাকেন তিনি। বাসার কেয়ারটেকার সোহাগ ডিশের ব্যবসা করেন। তবে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা নেই তার।

তিনি বলেন, ‘ওই রুমে কে ছিলেন, আমি জানতাম না। তাদের সঙ্গে কখনো দেখা হয়নি।’

র‌্যাব জানায়, বাসার পাশেই অল্প কিছুদিন আগে একটি মসজিদ করা হয়। সাম্প্রতিক সময়ে সে মসজিদের কার্যক্রম শুরু করা হয়।

রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় মেট্রো হাউজিংয়ে বাড়িটি সোমবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে ফেলে র‌্যাব।

সোমবার সকালে জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে কমান্ডো অভিযান চালায় র‌্যাব। এর পরিপ্রেক্ষিতে বাড়ির ভেতরে বড় ধরনের বিষ্ফোরণ ঘটায় জঙ্গিরা। আস্তানায় তিনটি পায়ের চিহ্ন পাওয়া গেছে। সেই হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে অন্তত ২ জনের মরদেহ আছে। এঘটনায় বাড়ির কেয়ারটেকার ও দারোয়ানসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/এপ্রিল ২৯,২০১৯)