মাদারীপুর ও সিরাজগঞ্জে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ২
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মাদারীপুরের কালকিনি ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় কথিত বন্দুকযুদ্ধে দুই ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নিহতরা মাদক ব্যবসায়ী বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার গভীর রাতে কালকিনি উপজেলার কয়ারিয়া ইউনিয়নের উত্তর চরাইকান্দি এলাকায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ জহির উদ্দিন জোক্কা (৪২) নামের এক ব্যক্তি নিহত হন বলে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে, সিরাজগঞ্জ পৌর এলাকার রায়পুর রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় ‘দুই দল মাদক ব্যবসায়ীর মধ্যে গোলাগুলিতে’ মোহন শেখ (৫০) নামের আরেক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে দাবি করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার সকালে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ গণমাধ্যমের কাছে ‘বন্দুকযুদ্ধের’ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
মাদারীপুর থেকে আমাদের প্রতিনিধি এম আর মুর্তজা জানিয়েছেন, কালকিনি উপজেলায় নিহত জহির উদ্দিন জোক্কা কয়ারিয়া ইউনিয়নের চরকাঝিকান্দি গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর স্ত্রী ও পাঁচ ছেলে রয়েছে।
কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোফাজ্জেল হোসেন দাবি করেন, জহির উদ্দিন জোক্কা উপজেলার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। তাঁর বিরুদ্ধে কালকিনি থানায় চারটি মাদক মামলা রয়েছে। এর আগেও তিনি বহুবার মাদক মামলায় জেলহাজত খেটেছেন। লাশ উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে র্যাব-৮-এর পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, সোমবার গভীর রাতে জহির উদ্দিন জোক্কাকে আটক করেন র্যাবের বরিশাল ক্যাম্পের সদস্যরা। এরপর উপপরিদর্শক (এসআই) শফিকুল ইসলামের নেতৃত্বে জোক্কাকে নিয়ে অন্য মাদক ব্যবসায়ীদের গ্রেফতারের জন্য বিশেষ অভিযান চালানো হয়। উত্তর চরাইকান্দি এলাকায় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ীরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। এ সময় র্যাবও পাল্টা গুলি ছুড়লে মাদক ব্যবসায়ীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়।
পরে উত্তর চরাইকান্দির একটি খোলা মাঠে জহির উদ্দিন জোক্কার গুলিবিদ্ধ লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়। লাশ উদ্ধার করে হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয় বলে জানায় র্যাব।
অন্যদিকে সিরাজগঞ্জ থেকে প্রতিনিধি শরিফুল ইসলাম ইন্না জানান, সেখানে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত মোহন জেলা শহরের একসময়ের ‘মাদকপল্লী’ হিসেবে খ্যাত মাহমুদপুর মহল্লার ২ নম্বর গলির বাসিন্দা। মোহনের বিরুদ্ধে সদরসহ বিভিন্ন থানায় কমপক্ষে ১০টি মাদক মামলা রয়েছে বলে দাবি করেছে পুলিশ।
‘বন্দুকযুদ্ধ’ সম্পর্কে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দাউদ দাবি করেন, মোহন প্রায় এক মাস আগে কারাগার থেকে বের হন। বের হয়েই আবার মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন। মাদক ব্যবসার লেনদেন নিয়ে তাঁর অন্য সহকর্মীদের সঙ্গে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। সেই দ্বন্দ্বে নিজেদের মধ্যে গোলাগুলিতে অবশেষে মারা যান তিনি।
ওসি আরো দাবি করেন, আজ ভোরে রায়পুর রেলস্টেশনের পাশে মোহনের লাশ দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/এপ্রিল ৩০, ২০১৯)