দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ক্যাম্প ন্যুর দুই লাখ চোখ ছিল মেসিদের দিকে। টিভি পর্দার কোটি। মেসির চোখ ছিল রেকর্ড এবং চ্যাম্পিয়নস লিগের শিরোপার দিকে। ঘরের মাঠ, মেসির দিন সঙ্গে মেসি ধ্বনি। বার্সেলোনাকে আটকায় কে।

তবুও তাকে ম্যাচের চারভাগের তিনভাগ ফ্যাবিনহো-ফন ডাইক আটকে রাখেন। কিন্তু তার সাত মিনিটের শো'তে উড়ে গেল জার্গেন ক্লপের লিভারপুল। সঙ্গে শুরুতে সুয়ারেজের এক গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের প্রথম লেগে বার্সেলোনার ৩-০ গোলের বড় জয়। কাতালানদের এক পা চলে গেছে মাদ্রিদের ফাইনালে।

ম্যাচের ২৬ মিনিটে প্রথম গোল করেন বার্সা স্ট্রাইকার লুইস সুয়ারেজ। ২০১৪ সালে লিভারপুল ছাড়ার পর রেডসদের বিপক্ষে মাঠে নামেন তিনি। শুরুতে দুঃস্বপ্ন উপহার দেন ক্লপের। এগিয়ে নেন দলকে। এরপর শুরু হয় লিভারপুলের দারুণ সব আক্রমণ। মিলনার-সালাহদের দারুণ সব আক্রমণ প্রতিহত করেন জার্মান গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগান। না হলে অ্যাওয়ে গোলের সঙ্গে লিডও নিতে পারতো অল রেডসরা।

উল্টো ম্যাচের ৭৫ মিনিটে মেসি শো। সাত মিনিট বাদে ৮২ মিনিটে দুর্দান্ত ফ্রি কিকে গোল মেসির। লিভারপুলের ব্রাজিলিয়ান গোলরক্ষক ‌অ্যালিসন দুর্দান্তভাবে ঝাপিয়ে পড়েও ব্যর্থ। বার্সেলোনার হয়ে রেকর্ড ছয়শ' গোলের মাইলফলক মেসির। ক্লাব ক্যারিয়ারে ছয়শ' গোল হলো মাত্র ছয়জনের। এছাড়া মেসি প্রিমিয়ার লিগের দলের বিপক্ষে করলেন ২৬ গোল। ইংলিশ লিগের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস লিগে এতো গোল আর কোন ফুটবলারের নেই।

মেসির ওই সাত মিনিটই বদলে দিয়েছে ম‌্যাচ। নয়তো অলরেডস বস ক্লপ এবং তার শিষ্যরা চোখে চোখ রেখে সমানে সমানে লড়ে গেছে কাতালানদের বিপক্ষে। টিকিতাকায় অভ্যস্ত বার্সার বিপক্ষে ৫২ ভাগ বল পায়ে রেখে খেলা সহজ কথা নয়। সোজা নয় বার্সার মাঠে এসে তাদের চেয়ে গোলে বেশি শট নেওয়া। লিভারপুল ম্যাচে গোলের বাইরে আটটি শট নিয়েছে। লক্ষ্যে নিয়েছে চারটি। বার্সা গোলের লক্ষ্যে পাঁচ শট নিয়ে তিন গোল পেয়েছে। লক্ষ্যভ্রষ্ট শটও নিয়েছে পাঁচটি। এমনকি সফল পাসেও এগিয়ে ছিল ইংলিশ লিগের দলটি।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ০২,২০১৯)