কক্সবাজারপ্রতিনিধি : ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র ছোবল থেকে বাঁচতে কক্সবাজারের টেকনাফ-সেন্টমার্টিনের লোকজন আশ্রয়কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। সন্ধ্যা পর্যন্ত তিন শতাধিক মানুষ আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন।

এদিকে চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায়ই থাকবে। একই সঙ্গে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ রবিউল হাসান বলেন, 'ইতোমধ্যে সেন্টমাটিন ও শাহপরীর দ্বীপে তিন শতাধিক বাসিন্দাকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। বিশেষ করে দুই দ্বীপের (সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপ) এখনো যারা আশ্রয় কেন্দ্রে যায়নি, প্রয়োজনে তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বেচ্ছাসেবী ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় সংস্থার আশ্রয় কেন্দ্র নিয়ে যাওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, এ ছাড়া দ্বীপের লোকজন যাতে আশ্রয় নিতে পারে সেজন্য পর্যাপ্ত ত্রাণ সামগ্রী ও স্কুল, আবহাওয়া অফিস, ডাকঘর, হোটেলগুলো খোলা রাখতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি দ্বীপে বিজিবি, পুলিশ, কোস্ট গার্ড সদস্যরা সর্তক অবস্থানে রয়েছেন।

দ্বীপের বাসিন্দা মোক্তার আহমদ বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে দ্বীপে বাতাসের বেগ বেড়েছে। দ্বীপের লোকজন আশ্রয় নেওয়ার জন্য কেন্দ্রের দিকে ছুটছেন। ঘূর্ণিঝড় আসলে দ্বীপের বাসিন্দাদের নির্ঘুম রাত কাটে। কেননা সাগরের মাঝে আমাদের বসতি। এছাড়া আগের তুলনায় দ্বীপের অবস্থা ভাল না। সাগরে সামান্য পানি বাড়লে দ্বীপের চারদিকে ভেঙে যায়।

তিনি আরও বলেন, শুনেছি ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ খুবই শক্তিশালী। তাই আমার মত দ্বীপের সব বাসিন্দাই ভয়ে আছেন।

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নুর আহমদ বলেন, উপকূলের লোকজনকে সরিয়ে দ্বীপের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। তাছাড়া দ্বীপে বৃষ্টি না হলেও বাতাস শুরু হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের একটি টিম, রেডক্রিসেন্টের লোকজন ও দ্বীপে দায়িত্ব থাকা বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা কাজ করে যাচ্ছেন। দ্বীপের সকলকে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হবে।

এ ব্যাপরে টেকনাফ-২ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ ফয়সল হাসান খান বলেন, ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবেলায় দ্বীপে মোতায়ন করা বিজিবি সদস্যদের প্রস্তুত রাখা হয়েছে। দ্বীপের বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যেতে বিজিবি সদস্যরা কাজ করছেন।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ০৩,২০১৯)