দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় ফণীর আঘাতে ভারতে সর্বশেষ ৮ জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন অন্তত শতাধিক মানুষ। ওড়িশায় আঘাত হানার পর ফণী এখন পশ্চিমবঙ্গের খুব কাছাকাছি চলে এসেছে। রাতেই আঘাত হানবে গোটা রাজ্যে।

শুক্রবার সকাল ৯টার দিকে ওড়িশার পুরীতে আছড়ে পড়ে ফণী। এ সময় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার। রাজ্যের বিভিন্ন স্থানের ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে ফণী। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবের বেশ কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে।

একটি ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, ২৫০ ফুট উচ্চতার একটি ক্রেন প্রবল বাতাসের চাপ সহ্য করতে না পেরে ঘরবাড়ির ওপর ভেঙে পড়ছে। তবে ক্রেনটি ভেঙে পড়ার সময় ওই বাড়িঘরগুলোতে কোনো লোকজন ছিল কিনা তা জানা যায়নি।

পশ্চিমবঙ্গের আঘাত হানার পর এটি বাংলাদেশে অভিমূখে ছুটবে। তবে সর্বশেষ পাওয়া তথ্য মতে, প্রবল শক্তিশালী এই ঘূর্ণিঝড়টির শক্তি কিছুটা কমেছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে আঘাত হানার পর এটি বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতি করতে পারে।

ফণী ভয়াবহতা বিবেচনায় গত কয়েকদিন আগে থেকেই সতর্কতা জারি করেছে ভারত ও বাংলাদেশ। নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে সরিয়ে নেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে এত কিছু সত্বেও ফণীর ছোবলে আটজন নিহত ও ১৬০ জন আহত হয়েছেন।

ক্রেন ভেঙে পড়ার ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, ঘণ্টায় ২০০ কিলোমিটার বেগে ওড়িশা রাজ্যে আঘাত হেনেছে ফণী। ফলে গাছ ও বাড়িঘর ভেঙ্গে পড়েছে। যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে বেশিরভাগ অঞ্চলের মানুষ। প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত জনজীবন।

গোটা রাজ্যে বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন। তাছাড়া বিচ্ছিন্ন হয়েছে টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থাও। ওড়িশার ভুবনেশ্বর, কটক ও পুরী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো এর ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে সঠিক কিছু বলতে পারেনি।

ভারতের আবহাওয়া দফতর বলছে, শুক্রবার রাতেই ওড়িশা থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করবে ফণী৷ পশ্চিমবঙ্গের দীঘা থেকে এটি এখন মাত্র ৬০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছে। ঝড়ের গতিবেগ থাকবে ঘন্টায় প্রায় ৮০ থেকে ৯০ কিলোমিটার।

দশ লাখেরও বেশি মানুষকে ওডিশার কিছু কিছু জেলা থেকে সরিয়ে নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। গঞ্জাম, পুরীর ৩ লাখ এবং ১ লাখ ৩০ হাজারেরও বেশি মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

ভুবনেশ্বর এয়ারপোর্টে ভয়ঙ্কর ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে, কলকাতার দিকে ক্রমশ এগিয়ে আসছে ফণী। দীঘা উপকূলের প্রায় কাছে এসে গিয়েছে ঝড়। প্রবল এই ঘূর্ণিঝড়ের সঙ্গে জলোচ্ছ্বাসের সম্ভাবনা রয়েছে।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ৪,২০১৯)