দ্য রি‌পোর্ট প্র‌তি‌বেদক : রমজান মাস উপলক্ষে রাজধানীতে মাংসের মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। প্রথম রমজান থেকে ২৬ রমজান পর্যন্ত কার্যকর থাকবে এই নির্ধারিত মূল্য।

 

সোমবার (০৬ এপ্রিল) দুপুরে ডিএসসিসির নগর ভবনে মাংস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিসহ ডিএসসিসি ও ডিএনসিসির কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আলোচনা বৈঠকে এ মূল্য নির্ধারণ করা হয়।

বৈঠকেরগৃহীত সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে রাজধানী ঢাকায় দেশি গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫২৫টাকা এবং বিদেশি বা বোল্ডার গরুর মাংস প্রতিকেজি ৫০০ টাকা ও মহিষের মাংস কেজিপ্রতি ৪৮০ টাকায় বিক্রি হবে। সেই সঙ্গে খাসির মাংস প্রতিকেজি ৭৫০টাকা এবং ভেড়া ও ছাগলের মাংস প্রতিকেজি ৬৫০ টাকা ধরে বিক্রির জন্য এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

এ সময় মেয়র সাঈদ খোকন বলেন, যদি কোনো ব্যবসায়ী এ মূল্যে মাংস বিক্রি না করে, বেশি মূল্যে বিক্রি করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মেয়র বলেন, আমরা এর আগে ভোগ্যেপণ্যে ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করেছি। তারা আমাদের জানিয়েছেন দ্রব্যের মূল্য গতবছরের তুলনায় এবার কোনোভাবেই বাড়বে না। বরং কিছুটা হলেও কমবে। হোটেল রেস্তোরাঁর মালিকদের সঙ্গেও বৈঠক করেছি।

তারাও যাতে খাবার স্বাস্থ্যসম্মত রাখেন সেজন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সোমবার মাংসের মূল্যও নির্ধারণ করা হলো। এতে যদি কোনো অনিয়ম না হয় সেজন্য মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে ডিএসসিসির বাজার মনিটরিং টিম মনিটরিংয়ে নামবে। যদি কারো বিরুদ্ধে কোনো অনিয়মের অভিযোগ ও প্রমাণ পাওয়া যায় তাহলে সে ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে বৈঠকেমেয়রের কাছে মাংস ব্যবসায়ীরা নানা অভিযোগ তুলে ধরে বলেন, গরুর মাংসের মূল্য বাড়ার পেছনে অন্যতম কারণ হলো গাবতলীর হাটের কতিপয় চাঁদাবাজিদের উৎপাত। তাদের কারণে প্রতি গরু প্রতি ৫ থেকে ১০ হাজার টাকাও খাজনা দিতে হয় বলে অভিযোগ করেন তারা। তাই তাদেরকে নিয়ন্ত্রণের জন্য মেয়র ও প্রশাসনের প্রতি আহ্বান জানান মাংস ব্যবসায়ীরা।

বৈঠকেউপস্থিত ছিলেন-মাংস ব্যবসায়ী নেতারা এবং সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা

(দ্য রি‌পোর্ট/এন‌টি/‌মে ০৬, ২০১৯)