দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : গত মাসের শেষ থেকে তীব্র তাপদাহে পুড়ছিল পুরো দেশ। এ মাসের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় ফণীর প্রভাবে তাপমাত্রা সহনীয় পর্যায়ে আসে। জনজীবনে একটু স্বস্তি মেলে। তবে তা স্থায়ী হয়নি। একদিন পর থেকেই আবারও বাড়তে থাকে তাপমাত্রা। গত ক'দিন ধরেই চলছে তাপপ্রবাহ।

রমজানের প্রথম দিন থেকেই রাজধানীসহ সারাদেশে প্রচণ্ড গরমে অতিষ্ঠ মানুষ। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, এ গরম আরও তিন-চার দিন থাকবে। এরপর বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

মঙ্গলবার শুরু হয়েছে পবিত্র রমজান। আবহাওয়াবিদরা জানান, এপ্রিল ও মে হলো বছরের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস। এ সময় প্রকৃতি এমনিতেই উত্তপ্ত থাকে। এরসঙ্গে তাপপ্রবাহের কারণে জনজীবনে দুর্ভোগ বেড়েছে। এরমধ্যে দীর্ঘ সময় রোজা রেখে কাহিল হয়ে পড়ছেন রোজাদাররা। রাজধানীতে গরমের সঙ্গে বেড়েছে যানজটও। ফলে নগরবাসীর ভোগান্তি চরম আকার নিয়েছে। বেলা বাড়ার সঙ্গে রোদ ও গরমের মাত্রা বাড়ছে।

বুধবার ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বিভিন্ন কাজে বের হওয়া মানুষ একটু প্রশান্তির খোঁজে বাস ছাউনি, মার্কেটসহ বিভিন্ন ছায়াযুক্ত পরিবেশে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।

আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান মৃদু তাপপ্রবাহ অব্যাহত রয়েছে। এতে দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে।

আবহাওয়া পূর্বাভাস অনুসারে, ফরিদপুর, গোপালগঞ্জ, কুতুবদিয়া, রাজশাহী, পাবনা ও দিনাজপুর অঞ্চল এবং খুলনা বিভাগের ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে আর তা আরও কয়েকদিন অব্যাহত থাকবে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, আজ বৃহস্পতিবার রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের দু'এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুস্ক থাকতে পারে।

মে মাসের আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে একটি তীব্র (৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে), অন্যত্র একটি অথবা দুটি মৃদু (৩৬ থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস) অথবা মাঝারি (৩৮ থেকে ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস) তাপপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।

এ মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যার একটি ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া দেশের উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই থেকে তিনটি কালবৈশাখী এবং অন্যান্য স্থানে চার থেকে পাঁচটি বজ্রসহ ঝড়ের আশঙ্কা আছে।

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ০৮,২০১৯)