সমর্থকদের উদ্দেশ্যে হতাশ মেসির চিৎকার
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: প্রথম পর্বে ন্যু ক্যাম্পে মেসি ম্যাজিকে ৩-০ গোলে উড়ে গিয়েছিল লিভারপুল। সেই প্রতিশোধই কড়ায়-গন্ডায় নিলেন অলরেডরা।
অ্যানফিল্ডে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে বার্সেলোনাকে ৪-০ গোলে হারিয়ে দুই লেগ মিলে ৪-৩ গোলের এগিয়ে থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে উঠে গেলেন ক্লপের শিষ্যরা।
সেদিন সালাহবিহীন লিভারপুলের কাছে মেসি, সুয়ারেজদের ব্যর্থ সৈনিকের আত্মসমর্পণ মনে হয়েছে বার্সা সমর্থকদের।
প্রথম পর্বে ৩-০ তে উড়িয়ে দেয়া প্রতিপক্ষকে কোনো গোলই তো দিতে পারেনি স্প্যানিশ জায়ান্টরা। উল্টো এক হালি হজম করতে হয়েছে।
ভেঙে চুরমার চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে ওঠার স্বপ্ন।
এ লজ্জার হারের পর বার্সার ফুটবলারদের মনের অবস্থা কী ছিল, সহজেই অনুমেয়।
এ ম্যাচে ম্লান ছিলেন মেসি। খেলা শেষে ভেঙে পড়েন তিনি। পরে ডোপ টেস্ট হয় বিষণ্ন ছোট ম্যাজিসিয়ানের।
তবে প্রক্রিয়াটা ছিল বেশ লম্বা। ফলে সেখানে অনেক সময় নষ্ট হয়। তাই মেসির জন্য অপেক্ষা করেনি বার্সা টিম বাস। তাকে রেখেই সরাসরি বিমানবন্দরে চলে যায় সেটি।
পরে বিশেষ ব্যবস্থা করে মেসিকে পাঠানো হয় বিমান ধরতে। এ সময়ের মধ্যে ডোপ পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয় তার। স্বপ্নভঙ্গ হওয়ায় মনোবলে আঘাত পান তিনি। তাই নিরীক্ষা শেষে গণমাধ্যমের সঙ্গেও কথা বলেননি বার্সার আর্জেন্টাইন সুপারস্টার।
গণমাধ্যম এড়াতে পারলেও বিমানবন্দরে সমর্থকদের ক্ষোভের মুখে পড়েন মেসি। সব দোষ যেন মেসিরই! এভাবেই মেসির ওপর প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করতে থাকেন সমর্থকরা। তাতে বেশ হতাশ হয়ে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখান এ ফুটবল তারকা।
বিমানবন্দরে সমর্থকদের উদ্দেশ্যে চিৎকার করে বারবার মেসি বলতে থাকেন, 'তোমাদের সমস্যা কী? আমি কি করেছি, আমার কি ভুল ছিল।'
এমনটি বলাই স্বাভাবিক। ওই খেলায় লিভারপুলের গোল লক্ষ্য করে ৮টি শট নেন কাতালানরা। এর মধ্যে মেসিই নেন পাঁচটি শট। তবে একটাও নিশানাভেদ করেনি। দিনটা যে আসলেই ছিল না ৩১ বছর বয়সী হালের মহাতারকার।
অবশ্য এসব ব্যাখ্যা বার্সা সমর্থকদের মাথায় ছিল না। মেসি-সুয়ারেজদের কাছে তাদের প্রত্যাশাটাও ছিল অনেক বেশি।
অ্যানফিল্ডে কমপক্ষে যদি একটি গোল দিতে পারতেন কাতালানরা, তা হলেও ফাইনালে লিভারপুলকে উঠতে আরও দুটি গোল বেশি করতে হতো।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১০, ২০১৯)