দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: মেহেরপুরের গাংনী ও কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলায় ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুইজন নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার (১০ মে) দিবাগত গভীর রাতে পৃথক এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

মেহেরপুর : মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় একাধিক মামলার আসামি ইয়াকুব আলী কাজল (২৬) পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন।

শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে ইউনিয়নের গাঁড়াডোব মাঠে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে একটি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, দুই রাউন্ড কার্তুজ ও একটি রামদা উদ্ধার করা হয়েছে।

কাজল উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের গাঁড়াডোব গ্রামের জালাল উদ্দীন ওরফে হাবুর ছেলে। সে গাংনী উপজেলায় স্কুলছাত্রী ধর্ষণ ও গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ মামলার আসামি। এছাড়া কাজল একই গ্রামের এক স্কুলছাত্রী ধর্ষণ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। ওই মামলায় সে পলাতক ছিল।

গাংনী থানার ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার সাংবাদিকদের জানান, প্রেমে ব্যর্থ হয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে রামকৃঞ্চপুর ধলা গ্রামের এক গৃহবধূকে এসিড নিক্ষেপ করে পালিয়ে যায় কাজল। এ ঘটনার পর বিষয়টি পুলিশকে জানায় ওই গৃহবধূর পরিবার।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকালে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাথুলী ইউনিয়নের ধলা গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ। রাতে তাকে নিয়ে ইউনিয়নের গাঁড়াডোব এলাকার একটি বাঁশবাগানে অস্ত্র উদ্ধারে গেলে তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি করে। একপর্যায়ে তার সহযোগীরা পিছু হটে। পরে ঘটনাস্থল থেকে তার কাজলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় তিন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

টেকনাফ : কক্সবাজারের টেকনাফে দুদু মিয়া (৩৮) নামে এক মাদক কারবারীর পুলিশের সঙ্গে কথিত ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছে।

শুক্রবার রাত ১টার দিকে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধের এ ঘটনা ঘটে।

নিহত দুদু মিয়া টেকনাফ সদর ইউনিয়নের নাজির পাড়া এলাকার সুলতান আহমদের ছেলে।

টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাস জানান, নিহত দুদু মিয়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত একজন মাদক ব্যবসায়ী। তার বিরুদ্ধে মাদক, অস্ত্রসহ অর্ধ ডজনের বেশি মামলা রয়েছে। তাছাড়া স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডিআইজি, এসবি ঢাকা, এসপি ও পুলিশ হেড কোয়ার্টারের মাদক ব্যবসায়ীর তালিকায় ছিল দুদু মিয়ার নাম।

তিনি আরও জানান, আটক দুদু মিয়াকে নিয়ে মেরিন ড্রাইভ এলাকায় ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযানে গেলে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে। এতে গুলিবিদ্ধ মাদক কারবারীকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দুকযুদ্ধে ৩ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন ওসি। আহতরা হচ্ছেন এএসআই সঞ্জিব দত্ত, এএসআই নেজাম উদ্দিন ও কনস্টেবল ইব্রাহিম।

ঘটনাস্থল থেকে ৫টি আগ্নেয়াস্ত্র, ১৩ রাউন্ড কার্টুজ ও ৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মাদকবিরোধী অভিযান শুরু হলে দুদু মিয়া এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যায়। দীর্ঘদিন সে পলাতক অবস্থায় ছিল।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১১, ২০১৯)