দেহকে দ্রুত সতেজ করতে ইফতারে রাখুন জুস
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রোজায় যেকোনো প্রকার ফল বা সবজির জুস পান করা খুবই উপকারী। ইফতারে জুস দেহকে দ্রুত সতেজ করে। জুস থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন, খনিজ উপাদান ও অ্যানজাইম আমাদের দেহে দ্রুত কাজ করে। কারণ, এই উপাদানগুলো দেহের অভ্যন্তরে আরো ক্ষুদ্র অংশে বিশ্লিষ্ট হওয়ার প্রয়োজন হয় না। রস গ্রহণের ২০ মিনিটের মধ্যে এর কার্যকারিতা শুরু হয়ে যায়। রস থেকে প্রাপ্ত ভিটামিন সি ও কে আমাদের মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে। একই সঙ্গে শর্করাজাতীয় খাদ্য খাওয়ার সার্বিক মাত্রা কমে যায় বলে ওজন কমায়ও রসজাতীয় খাবারের বিশেষ ভূমিকা আছে।
যেসব ফলের জুস খেতে পারেন-
তরমুজের জুস : দেহে পানির ঘাটতি পূরণ করার মাত্রা ৯২ ভাগ। এর মূল উপাদান পানি ও চিনি। এ ছাড়া আরো রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, পটাসিয়াম। এরা একযোগে দেহে পানিশূন্যতা রোধে কাজ করে।
কমলার জুস : দেহে পানির ঘাটতি পূরণের মাত্রা ৮৭ ভাগ। এটি স্বাদে মিষ্টি এবং দৈনিক ভিটামিন সি-এর চাহিদা পূরণের ক্ষমতা শতভাগের চেয়েও বেশি।
জামের জুস : এটি ভিটামিন সি-তে পূর্ণ। জামের রস আমাদের ধমনীগাত্রকে পরিষ্কার রাখে এবং রক্তে চিনির পরিমাণ স্বাভাবিক করে।
ডুমুরের জুস : রক্তচাপ নিম্ন রাখে। পরিপাক ক্রিয়া উন্নত করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে।
আঙুরের জুস : এতে বিদ্যমান উচ্চ মাত্রার রিজভেরাট্রল অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং হৃৎপিণ্ডের সুস্থতা বজায় রাখে।
জাম্বুরার জুস : ৯০ ভাগ পানিশূন্যতা রোধ করে। এর লিমোনোইড্স নামক উপাদান দেহের বিষাক্ত উপাদানগুলো দূর করে ক্যানসারের টিউমারকে প্রতিরোধ করে।
আমের জুস : এই রস ভিটামিন এ, বি৬ ও সি-এর উৎকৃষ্ট উৎস। এ ছাড়া এই রস থেকে খাদ্য আঁশও পাওয়া যায়।
ডাবের পানি : পানিশূন্যতা রোধের মাত্রা ৯৫ ভাগ। এতে নিম্ন মাত্রায় সোডিয়াম ও কার্বোহাইড্রেট রয়েছে। এই রস আমাদের দেহে সতেজ অনুভূতির সৃষ্টি করে।
রমজানে আমাদের দেহে পানিশূন্যতা সৃষ্টির যে আশঙ্কা থাকে, তা প্রতিরোধে ফল ও সবজির রসের জুড়ি নেই। তাই সুস্থ শরীরে রোজা পালনের জন্য প্রতিদিনের সেহরি ও ইফতারের খাদ্যতালিকায় কমপক্ষে একটি ফলের রস খাওয়া উচিত।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১১, ২০১৯)