ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি
২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বহিষ্কার, ১৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ছাত্রলীগের সদ্য ঘোষিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ দেওয়ার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই পদপ্রাপ্ত ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ পেয়েছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ। অভিযোগের সত্যতা যাচাই-বাছাই করতে ২৪ ঘণ্টা সময় নিয়েছেন ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী।
বুধবার (১৫ মে) দিবাগত রাত ১২টায় রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব তথ্য জানান।
সংবাদ সম্মেলনে রাব্বানী অভিযোগ করেন, একটি বিশেষশক্তি ছাত্রলীগকে বিতর্কিত করতে কাজ করছে। তারা সাবেক সিন্ডিকেটের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে। বর্তমান কমিটির ১৭ জনের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্রবিরোধী অভিযোগ পাওয়া গেছে, উল্লেখ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যাচাই-বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে বলে তিনি ঘোষণা দেন। অভিযুক্তদের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘যদি তারা অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তাহলে তাদের পদ থাকবে। অন্যথায় তাদের পদগুলো শূন্য ঘোষণা করে যোগ্যদের সেখানে স্থান দেওয়া হবে।’
এ সময় ১৭ জন অভিযুক্তের মধ্যে দুই জন বাদে ১৫ জনের নাম ঘোষণা করেন গোলাম রব্বানী। তিনি বলেন, ‘এই ১৭ জনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের অভিযোগ পাওয়া গেছে।’
রাব্বানি ঘোষিত ১৫ জন হলেন– তানজীল ভূঁইয়া তানভীর, আরেফিন সিদ্দিকী সুজন, সুরঞ্জন ঘোষ, আতিকুর রহমান খান,তৌফিক হাসান সাগর, সোহানী হাসান তিথি, রুশি চৌধুরী, আফরিন লাবণী, মুনমুন নাহার বৈশাখী। বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার হোসেন বিদ্যুৎ, মাহমুদুল হাসান তুষার, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, আহসান হাবীব, সাদিক খান,
রাব্বানী অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘কমিটি গঠনে বিলম্ব হয়েছে সদ্য সাবেক প্রেসিডেন্ট-সেক্রেটারি আমাদের সহযোগিতা করেনি বলেই। বিষয়টি ছাত্রলীগের কমিটি গঠনে দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের জাতীয় নেতারাও জানেন।’
ছাত্রলীগের শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজ যারা করেছে তাদের বহিষ্কার করা হবে জানিয়ে এ সময় ছাত্রলীগ সভাপতি শোভন বলেন, ‘ছাত্রলীগের কমিটি হওয়ার পর একটি মহল বিভিন্ন মাধ্যমের যে আক্রমণাত্মক ভাষায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তা সংগঠনের শৃঙ্খলা পরিপন্থী। ক্ষোভ প্রকাশের জন্য দলীয় ফোরাম রয়েছে। যারা শৃঙ্খলা পরিপন্থী কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন তাদেরকেও খুঁজে বের করে বহিষ্কার করা হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন– ঢাবি শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনসহ আরও অনেক।
(দ্য রিপোর্ট/টিআইএম/ মে ১৬, ২০১৯)