বাজেটে প্রত্যাশার চেয়ে বেশি থাকবে আশাবাদ বিএসইসির
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : আসন্ন বাজেটে শেয়ারবাজারের জন্য যা যা প্রয়োজন, তা নিয়ে অর্থমন্ত্রী প্রস্তাবনা চেয়েছেন বলে জানিয়েছেন নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) চেয়ারম্যান ড. এম খায়রুল হোসেন। আর বাজেটে সেই চাওয়ার চেয়েও বেশি প্রদান করা হবে বলে অর্থমন্ত্রী আশ্বাস দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে বৈঠকে কমিশনের চেয়ারম্যান অর্থমন্ত্রীর এই আশ্বাসের কথা জানিয়েছেন।
বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেন, বুধবার (১৫ মে) অর্থমন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ব্যাংক ও বিএসইসির মধ্যে বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে অর্থমন্ত্রী শেয়ারবাজারের উন্নয়নে প্রস্তাবনা চেয়েছেন। তবে বাজেটে চাওয়ার চেয়েও বেশি থাকতে পারে বলে অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন। যিনি এই বাজারের উন্নয়নে সব কিছু করবেন বলেও জানিয়েছেন।
এদিকে গত ২৯ এপ্রিল শেয়ারবাজার নিয়ে গৃহিত বিভিন্ন সিদ্ধান্ত জনমত জরিপের পরে চূড়ান্ত করা হবে বলে বিএসইসি চেয়ারম্যান বৈঠকে স্টেকহোল্ডারদের জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, উদ্যোক্তা/পরিচালকদের শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন ঠিক আছে। তবে অন্যদের ক্ষেত্রে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনমত জরিপকে বিবেচনায় নিতে হবে। একপাক্ষিক সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক হবে না। একইসঙ্গে পাবলিক ইস্যু রুলসের যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা, সর্বনিম্ন মূলধন উত্তোলনের পরিমাণ ইত্যাদি বিষয়েও সংশোধনীর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে জনমত জরিপকে বিবেচনায় নেওয়া হবে।
এর আগে ২৯ এপ্রিল স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে কমিশনের এক জরুরী সভা অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে প্লেসমেন্টে শেয়ার ইস্যুর ক্ষেত্রে বিএসইসির অনুমোদন লাগবে না, আইপিওকালীন সকল শেয়ারে ৩ বছর লক-ইন থাকবে, লক-ইন প্রসপেক্টাসের সংক্ষিপ্ত সংস্করন প্রকাশের দিনের পরিবর্তে লেনদেন শুরুর দিন থেকে গণনা করা হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে কমপক্ষে ৫০ কোটি টাকা ও বুক বিল্ডিং মেথডে ১০০ কোটি টাকা উত্তোলন করতে হবে, আইপিওতে ফিক্সড প্রাইস মেথডে যোগ্য বিনিয়োগকারীদের কোটা ৫০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ শতাংশ এবং বুক বিল্ডিং মেথডে ৬০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫০ শতাংশ করা, শেয়ারবাজারে সক্রিয় নয় এমন ডিলার, প্রভিডেন্ট ফান্ড, মার্চেন্ট ব্যাংকস ইত্যাদিকে যোগ্য বিনিয়োগকারীর তালিকা থেকে বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল।
আজকের বৈঠকে বিএসইসি চেয়ারম্যান বলেছেন, শেয়ারবাজারের প্রধান হচ্ছে প্রাইমারি মার্কেট। এই মার্কেটের মাধ্যমে দেশের শিল্পায়ন হয়। তবে টাকা হাতবদলের জন্য সেকেন্ডারি মার্কেটের দরকার আছে। আর সেটা যেনো সুন্দরভাবে হয়, সে বিষয়টি দেখা কমিশনের দায়িত্ব।
বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ (ডিএসই), চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ (ডিবিএ), ডিএসই ব্রোকার্স এসোসিয়েশন (ডিবিএ) ও বাংলাদেশ মার্চেন্ট ব্যাংকার্স এসোসিয়েশনের (বিএমবিএ) নেতৃবৃন্দসহ অন্যান্য স্টেকহোল্ডাররা উপস্থিত ছিলেন।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৭, ২০১৯)