বরগুনা থেকে চার মণ হরিণের মাংস উদ্ধার
বরগুনা প্রতিনিধি: জেলার পাথরঘাটায় অভিযান চালিয়ে চার মণ হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। এ সময় হরিণের দু’টি মাথা, চামড়া, বিপুল পরিমাণ হরিণ শিকারে ব্যবহৃত ফাঁদ ও ইঞ্জিনচালিত একটি ট্রলার জব্দ করা হয়েছে।
শনিবার (১৮ মে) ভোরে চরলাঠিমারা এলাকা থেকে এগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় কাউকে আটক করা যায়নি। তবে ট্রলার মালিকসহ জড়িতদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
বন বিভাগ চরলাঠিমারা বিট কর্মকর্তা বদিউজ্জামান খান সোহাগ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বনফুল এলাকায় অভিযান চালায় বন বিভাগ। এ সময় গুচ্ছগ্রামের পাশে ভারের খালে একটি ট্রলার লক্ষ করে ধাওয়া দিলে, ট্রলারটি ফেলে পালিয়ে যায় লোকজন। এ সময় ট্রলারের ভেতর তল্লাশি চালিয়ে হরিণের দু’টি মাথা, দু’টি চামড়া, চার মণ হরিণের মাংস, দুই বস্তা হরিণ শিকারে ব্যবহৃত ফাঁদ জব্দ করা হয়। পরিচয়হীন ট্রলারটিও জব্দ করা হয়। এরপর আমরা বিষয়টি পুলিশ ও কোস্টগার্ডকে জানাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইতোমধ্যে আমরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় ট্রলার মালিককে শনাক্ত করতে পেরেছি। ট্রলারটির মালিক হলেন- কোস্টগার্ডের মাঝি ইলিয়াসের বাবা পদ্মা এলাকার আবদুর রহমান শিকদার। তিনি এলাকায় একজন চিহ্নিত হরিণ শিকারি হিসেবে পরিচিত। তিনিসহ আরও পাঁচ-ছয় জন এই হরিণ শিকারের সঙ্গে জড়িত ছিলেন। আমরা প্রত্যেকের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা করছি।’
এ বিষয়ে পাথরঘাটা কোস্টগার্ডের স্টেশন কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘বিষয়টি শোনার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে যাই। ট্রলারটির মালিককে চিহ্নিত করি।’
বন বিভাগের পাথরঘাটা রেঞ্জের কর্মকর্তা মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘আমরা ধারণা করছি, শিকারিরা সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থান থেকে এই হরিণগুলোকে শিকার করেছে। যে পরিমাণ মাংস উদ্ধার করা হয়েছে, তাতে ধারণা করছি, কমপক্ষে আটটি হরিণ শিকার করা হয়েছে। এই চক্রের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা জব্দকৃত মাংস থেকে কিছু মাংস পরীক্ষার জন্য রেখে, বাকি মাংস পুড়িয়ে ফেলতে বলেছেন।’
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ১৮, ২০১৯)