দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : ছাত্রলীগের পদবঞ্চিত ও প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নেতাকর্মীদের দ্বিতীয় দফায় মারধরের অভিযোগ উঠেছে। মারধরের বিচার ও কমিটি থেকে বিতর্কিতদের বাদ না দেয়া পর্যন্ত অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ নেতারা।

শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসিতে সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনশন করছেন তারা।

এর আগে অনশনকারী নেতারা অভিযোগ করেন, রাত তিনটার দিকে তাদের সাথে দুর্ব্যবহার করা হয় ও তাদেরসহ নারী নেত্রীদের শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়।

তাদের মধ্যে গত কমিটির পরিকল্পনা বিষয়ক উপসম্পাদক রাকিব হোসেন চ্যানেল আই অনলাইনকে বলেন, ছাত্রলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি থেকে ‘বিতর্কিত’দের বাদ দিতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশের পর কমিটি ও মধুর ক্যান্টিনের গত সোমবারের হামলার ঘটনা নিয়ে তৈরি হওয়া জটিলতা নিরসনে সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে টিএসসিতে আলোচনায় বসেছিলেন তারা। সেখানে সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী প্রত্যাশিত পদ না পাওয়া নতুন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপসম্পাদক লিপি আক্তারকে আপত্তিকর কথা বললে তিনি প্রতিবাদ করেন। তারপর তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এর জেরে সেখানে উপস্থিত গোলাম রাব্বানী ও তার কর্মীরা লিপিসহ পদবঞ্চিতদের মারধর করেন।ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের

মারধরের শিকার হয়েছেন নতুন কমিটির সংস্কৃতি বিষয়ক উপসম্পাদক নিপু ইসলাম তন্বী, অর্থ বিষয়ক উপসম্পাদক তিলোত্তমা শিকদার, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ফরিদা পারভীন ও সাধারণ সম্পাদক শ্রাবণী শায়লা, শামসুননাহার হল শাখার সাধারণ সম্পাদক জিয়াসমিন শান্তা, সাবেক কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিকবিষয়ক উপসম্পাদক এমদাদ হোসেন সোহাগ, সাবেক কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক আজমীর শেখ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহসহ কয়েকজন।

এর মধ্যে মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক উপ-প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল্লাহ। তার ডান পাশের ‘কলার বোন’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেন জানান। যেটি আগেও একবার ভেঙেছিল।

অনশনে বসার কিছুক্ষণ পর ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে আসেন। তারা পদবঞ্চিতদের বুঝিয়ে অনশন থেকে নিবৃত্ত করার চেষ্টা করেন। কিন্তু পদবঞ্চিতরা তাদের অনুরোধ গ্রহণ করেননি। তারা বলেছেন বিচার না হওয়া পর্যন্ত এখানে তাদের অবস্থান অব্যাহত থাকবে।ছাত্রলীগ-ছাত্রলীগের পদবঞ্চিতদের মারধর

তবে মারধরের বিষয় অস্বীকার করে গোলাম রাব্বানী সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাউকে মারধর করা হয়নি। কথা বলতে গিয়ে সেখানে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়েছিল। কিছু কর্মী উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিল। আমরা তাদের নিবৃত্ত করেছি।’

এছাড়াও বিশেষ সিন্ডিকেটের নির্দেশনা অনুযায়ী পদবঞ্চিতরা এসব করছেন বলেও দাবি করেন রাব্বানী।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন কিছু বলতে চাননি।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ১৯,২০১৯)