বান্দরবানে যুবককে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা
বান্দরবান প্রতিনিধি : বান্দরবানের রাজবিলা আওয়ামী লীগের এক সমর্থককে অপহরণের পর গুলি করে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা।
শনিবার (১৮ মে) রাত দুইটার দিকে রাজবিলা ইউনিয়নের ৪নং রাবার বাগান এলাকা থেকে অপহরণের এ ঘটনা ঘটে। রবিবার ভোরে বাড়ি থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে ৫নং রাবার বাগান এলাকায় তার লাশ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়।
নিহতের নাম ক্য চিং থোয়াই মারমা (২৭)। তিনি রাজবিলা ইউনিয়নের ৪নং রাবার বাগান এলাকার তাউ থোয়াই মারমার ছেলে। শনিবার রাত দুইটার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী ক্য চিংকে বাসা থেকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে রাজবিলার ইউপি চেয়ারম্যান কে অং প্রু মারমা জানান, নিহত ক্য চিং আওয়ামী লীগের সমর্থক ছিলেন। তার ভাই ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
এ ঘটনার খবর পেয়ে বান্দরবান সদর থানা ও রাজবিলা পুলিশ ক্যাম্প থেকে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়েছে। এই এলাকায় একের পর এক হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে। এদিকে এ ঘটনার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছেন।
স্থানীয়রা জানান, ক্য চিংকে রাতে অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করে। তার বুকে ও পিঠে পাঁচটি গুলির চিহ্ন রয়েছে। এ ঘটনার জন্য আওয়ামী লীগ জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করলেও জনসংহতির পক্ষ থেকে এখনও কোনও বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মো. এনামুল হক ভূইয়া বলেন, ‘একজনকে অপহরণের পর গুলি করে হত্যার খবর পেয়েছি। ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে।’
উল্লেখ্য, গত ৯ মে ওই এলাকায় সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির সমর্থক জয় মনি তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। এর আগে ৭ মে সন্ত্রাসীরা জনসংহতি সমিতির কর্মী বিনয় তঞ্চঙ্গ্যাকে গুলি করে হত্যা করে। অপহরণ করা হয় ফোলাধন তঞ্চঙ্গ্যা নামে অপর এক কর্মীকে। এখনো তার কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ১৯, ২০১৯)