ঢাকা ও চট্টগ্রামে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত ৩
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : রাজধানীর হাজারীবাগ এবং চট্টগ্রাম নগরের পলোগ্রাউন্ড এলাকায় 'বন্দুকযুদ্ধে' ৩ জন নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে।
রোববার (১৯ মে) মধ্যরাত থেকে সোমবার (২০ মে) ভোররাত পর্যন্ত এ দু'টি পৃথক বন্দুকযুদ্ধে ঘটনা ঘটে।
ঢাকা : রাজধানীর হাজারীবাগে র্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ দুই জন নিহত হয়েছে। র্যাবের দাবি, নিহতরা শ্রীমঙ্গল থেকে চা-পাতা ভর্তি কাভার্ডভ্যান ছিনতাই করে পালিয়ে ঢাকায় আসার পর তাদের সঙ্গে গোলাগুলিতে নিহত হয়েছেন। নিহতরা হলেন- মনির (৪৫) ও গিয়াস (৩৩)।
সোমবার (২০ মে) ভোর পৌনে চারটার দিকে হাজারীবাগের মধুসিটির সামনে এ ঘটনা ঘটে।
র্যাব-২ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার (এসপি) মুহাম্মদ মহিউদ্দিন ফারুকী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, অন্তত ৮-৯ টন চা-পাতাসহ কাভার্ডভ্যানটি ছিনতাই করে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। কাভার্ডভ্যানটিকে থামানোর চেষ্টা করলে তারা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি করে। পরে র্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি করলে ছিনতাইকারী চক্রের দুই সদস্য মারা যান।
এ সময় র্যাবের দুইজন সহকারী উপ-পরিদর্শকও (এএসআই) আহত হয়েছেন বলে দাবি করেন তিনি।
র্যাব আরও জানায়, নিহতদের সঙ্গে থাকা পরিচয়পত্র দেখে তাদের নাম জানা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে চা-পাতা ভর্তি ছিনতাইকৃত কাভার্ড ভ্যানসহ বিদেশি পিস্তল ও কয়েক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
শ্রীমঙ্গল পুলিশের বরাত দিয়ে র্যাব জানায়, নিহত মনিরের বিরুদ্ধে ছিনতাইসহ ২১টি বিভিন্ন মামলা রয়েছে। মনির এই ছিনতাইকারী চক্রের মূলহোতা। সে প্রায়ই চা-পাতা ভর্তি কাভার্ডভ্যান ছিনতাই করে পালিয়ে যেত। নিহত চালক গিয়াস ছিনতাইকৃত কাভার্ডভ্যান বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে যেত। ধারণা করা হচ্ছে ছিনতাইকৃত কাভার্ডভ্যানটি পুরান ঢাকার দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল।
চট্টগ্রাম : চট্টগ্রাম নগরীতে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মনসুর (৪০) নামে এক যুবক নিহত হয়েছেন।
পুলিশের দাবি, নিহত মনসুর সিএমপির তালিকাভুক্ত ছিনতাইকারী। তার বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় আটটি মামলা রয়েছে।
রোববার (১৯ মে ) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নগরের কোতোয়ালি থানার পলোগ্রাউন্ড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) কোতোয়ালী থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মনসুরকে গ্রেফতারে অভিযান চালায় পুলিশ।
এ সময় তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। পুলিশও পাল্টা গুলি করে। এক পর্যায়ে গোলাগুলি থেকে গেলে ঘটনাস্থলে মনসুরকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়।
এ সময় একটি এলজি ও চার রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।
ঘটনাস্থল থেকে তাকে উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। পরে নিহতের কাছে থাকা কাগজপত্র দেখে তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়।
নিহত মনসুর ছিনতাই মামলার আসামি। তার বিরুদ্ধে নগরের বিভিন্ন থানায় ছিনতাইয়ের ঘটনার চারটি মামলাসহ মোট আটটি মামলা রয়েছে বলে জানান ওসি।
(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২০, ২০১৯)