পদ্মা সেতুর ত্রয়োদশ স্প্যান বসবে কাল
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি: পিলারে বসানোর জন্য পদ্মা সেতুর কাছে নিয়ে আসা হয় ৩বি স্প্যান পদ্মা সেতুর মাওয়া প্রান্তে ৩বি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) বসানোর কাজ আবার পেছালো।
শুক্রবার (২৪ মে) সকালে মাওয়া প্রান্ত থেকে স্প্যান ৩বি সেতুর ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারের ওপর বসানোর কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু পরে প্রকৌশলীরা জানান, স্প্যানটি শনিবার (২৫ মে) সকালে পিলারে বসানো হবে।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, ‘নদীতে প্রচণ্ড স্রোত থাকায় মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে পিলারের উদ্দেশে স্প্যান দেরিতে রওনা দেয়। ফলে আজ আর স্প্যান বসানোর যথেষ্ট সময় নেই। কারণ স্প্যানের পজিশনিং ঠিক করতে যদি পর্যাপ্ত আলো না পাওয়া যায় তাহলে স্প্যান বসানো যাবে না। তাই শনিবার সকালে স্প্যান বসানো হবে।’
এদিকে, সেতুর নির্বাহী প্রকৌশলী (মূল সেতু) ও প্রকল্প ব্যবস্থাপক দেওয়ান আব্দুল কাদের জানান, ‘পিলারে লিফটিং হ্যাঙ্গার প্রস্তুত হয়নি। তাই আজ স্প্যান বসানো হবে না।’
এর আগে কয়েক দফায় এই স্প্যানটি বসানোর তারিখ পরিবর্তন করা হয়। পদ্মা নদীতে নাব্য সংকট এবং ১৪ নম্বর পিলারে লিফটিং হ্যাঙ্গার না বসাতে পারার কারণে স্প্যান ৩-বি পিলারের ওপর বসানোর শিডিউল পেছায় পদ্মা সেতু কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সকাল ১১টার দিকে মাওয়া কন্সট্রাকশন ইয়ার্ড থেকে তিন হাজার ৬০০ টন ধারণ ক্ষমতার 'তিয়ান ই' ভাসমান ক্রেন ১৫০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্প্যানটি পিলারের কাছে নিয়ে আসে।
এ স্প্যানটি সেতুর ত্রয়োদশ স্প্যান। এখন পর্যন্ত পদ্মা সেতুতে স্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ১০টি স্প্যান ও অস্থায়ীভাবে বসানো হয়েছে ২ টি স্প্যান। সে হিসেবে ৩বি স্প্যানটি স্থায়ীভাবে বসানো একাদশ স্প্যান হবে।
এ স্প্যানটি বসানো হলে সেতুর মোট ১৯৫০ মিটার দৃশ্যমান হবে। জাজিরাপ্রান্তে সেতুর ১৩৫০ মিটার, মাওয়া প্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর একটি স্প্যান অস্থায়ীভাবে বসানোয় সেতুর মোট ১৮০০ মিটার আগেই দৃশ্যমান আছে। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয়, বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।
পদ্মা সেতুর সহকারী প্রকৌশলী আহসান উল্লাহ মজুমদার শাওন জানান, পদ্মা সেতুতে দুই ধরনের স্প্যান বসবে। নদীর মধ্যে থাকা ৪২টি পিলারের উপর ৪১ টি স্প্যান (সুপার স্ট্রাকচার) যেগুলো মূলত স্টিলের। আর নদীর দুই পাড়ে থাকা ভায়াডাক্টের ওপর ৭টি করে ১৪টি রেলওয়ে স্প্যান। জাজিরা প্রান্তে ২৩৪টি সুপার-টি গার্ডার ও মাওয়া প্রান্তে ২০৪টি সুপার-টি গার্ডার মিলিয়ে মোট ৪৩৮টি সুপার টি-গার্ডার বসবে। এতে মোট রোডওয়ে স্প্যান হবে ৮৩টি। স্টিলের স্প্যান বা সুপার স্ট্রাকচার বসানো হয়েছে মোট ১২টি। আজ বসবে ত্রয়োদশ স্প্যান। অন্যদিকে রেলওয়ে গার্ডারের স্প্যান বসেছে একটি। তবে রোডওয়ে সুপার-টি গার্ডারের কোনও স্প্যান এখনও বসানো হয়নি।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২৪, ২০১৯)