পদ্মা সেতুতে ১৩তম স্প্যান, দৃশ্যমান প্রায় ২ কিলোমিটার
মুন্সীগঞ্জ প্রতিনিধি : পদ্মা সেতুর ১৩তম স্প্যান বসানো হয়েছে। শনিবার (২৫ মে) মুন্সীগঞ্জ প্রান্তের ১৪ ও ১৫ নম্বর পিলারে স্প্যানটি বসানো হয়। এই স্প্যানটি স্থাপন হলে সেতুর প্রায় দুই কিলোমিটার দৃশ্যমান হয়।
এর আগে নদীতে তীব্র স্রোত থাকায় শুক্রবার সকাল ৮টায় স্প্যানবাহী ক্রেনটি চালু করা সম্ভব হয়নি। পরে ৩ ঘণ্টা দেরিতে স্প্যান নিয়ে সেটি নির্ধারিত দুই পিলারের দিকে রওয়ানা দেয়। দুপুরে ২টায় ক্রেনটি নোঙ্গর করা হলেও স্প্যান বসানোর জন্য পর্যাপ্ত সময় হাতে ছিল না। এতে কাজ স্থগিত ঘোষণা করা হয়।
জাজিরা প্রান্তে সেতুর ১ হাজার ৩৫০ মিটার ও মাওয়া প্রান্তের একটি স্থায়ী ও একটি অস্থায়ী স্প্যান মিলে মোট ৩০০ মিটার এবং সেতুর মাঝ বরাবর ৫-এফ স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে বসানো শেষ হওয়ায় সেতুর মোট ১ হাজার ৮০০ মিটার আগেই দৃশ্যমান আছে। তবে স্প্যানগুলো ভিন্ন ভিন্ন মডিউলে বসানোর কারণে দৃশ্যমান অংশগুলো এক সারিতে নয়, বরং বিচ্ছিন্নভাবে থাকবে।
এ ছাড়া সেতুতে রোডওয়ে স্লাব ও রেলওয়ে স্লাব বসানোর কাজ চলছে জোড়েসোরে। এরই মধ্যে সেতুতে মোট ৩১২টি রেলওয়ে স্লাব ও ১৬ টি রোডওয়ে স্লাব বসানো সম্পন্ন হয়েছে। আর বসানোর জন্য প্রস্তুত রয়েছে ২০০০টি রেলওয়ে স্লাব ও ৮০০টি রোডওয়ে স্লাব।
জানা যায়, পদ্মা সেতুর অগ্রগতি ৭৬ শতাংশ, আর নদীশাসন কাজের অগ্রগতি ৫৫ শতাংশ। সব মিলিয়ে পদ্মাসেতু প্রকল্পের অগ্রগতি এখন ৬৭ শতাংশ। সেতুর মূল ২৬২টি পাইলের মধ্যে ২৩৬টি পাইল ড্রাইভিং শেষ হয়েছে। বাকি থাকা ২৬টি পাইল জুলাই মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন পদ্মা সেতুর দায়িত্বশীল এক প্রৌকশলী।
এ ছাড়া মূল সেতুর ৪২টি পিলারের মধ্যে ২৫টি পিলারের কাজ শেষ হয়েছে। আগামী জুন মাসের মধ্যে আরও ছয়টি পিলারের কাজ শেষ হবে। আর বাকি ১১টি পিলারের কাজ চলমান। মাওয়া কনস্ট্রাকশন ইয়ার্ডে ২৩টি স্প্যান ছিল। এর মধ্যে ১২টি স্প্যান পিলারের ওপর বসানো হয়েছে। ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এ বহুমুখী সেতুর মূল আকৃতি হবে দোতলা। কংক্রিট ও স্টিল দিয়ে নির্মিত হচ্ছে এ সেতুর কাঠামো।
(দ্য রিপেোর্ট/এনটি/মে ২৫, ২০১৯)