ষষ্ঠবার ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন মেসি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : ষষ্ঠবারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতে নতুন ইতিহাস গড়লেন বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড লিওনেল মেসি। শেষবারের মতো ইতিহাস গড়া থেকে মেসিকে থামানোর সুযোগ পেয়েছিলেন পিএসজি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পে। কিন্তু ফরাসি লিগে এই তরুণ ফরোয়ার্ড দলের শেষ ম্যাচে মাত্র ১ গোল করায় তা আর হয়নি।
লা লিগার এই মৌসুমে ৩৪ ম্যাচে ৩৬ গোল করেছেন মেসি। তাকে ইউরোপের শীর্ষ গোলদাতা হওয়া থেকে ঠেকাতে হলে শুক্রবার (২৪ মে) নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে ৫ গোল করতে হতো এমবাপ্পেকে। কিন্তু স্তাদ দে রাঁসের কাছে ৩-১ গোলে হেরে যাওয়া ম্যাচে এই বিশ্বকাপজয়ী ফরাসি তারকা করতে পেরেছেন মাত্র ১ গোল। ফলে অবধারিতভাবে গোল্ডেন শু গেছে মেসির দখলে। এর আগে লা লিগার সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার পিচিচি ট্রফিও ঝুলিতে পুরেছেন এই আর্জেন্টাইন তারকা।
এই নিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু জিতলেন মেসি। এটাও একটা রেকর্ড। এই নিয়ে টানা ১১বার এই পুরস্কার গেল লা লিগার দখলে। সর্বশেষ লা লিগার বাইরের কোনো খেলোয়াড় হিসেবে এই পুরস্কার জিতেছিলেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। ২০০৭/০৮ মৌসুমে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের দল ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের জার্সিতে ৩১ গোল করে এই মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার ঘরে তুলেছিলেন পর্তুগিজ উইঙ্গার। তার দখলে আছে ৪টি ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু।
সবচেয়ে বেশি বয়সে এই পুরস্কার জেতার তালিকায় এখন দ্বিতীয় স্থানে আছেন মেসি। তার বয়স ৩১ বছর, ১১ মাস এবং ২৫ দিন। ১৯৯০ সালে এই পুরস্কার জেতার সময় মেসির চেয়ে এক মাস ও এক দিন বেশি বয়সী ছিলেন হুগো সানচেজ।
তবে এমন দারুণ অর্জন সত্ত্বেও মেসির মন ভরেনি। চ্যাম্পিয়নস লিগের সেমিফাইনালের দ্বিতীয় লেগে লিভারপুলের কাছে বিধ্বস্ত হয়ে বিদায় নেওয়ার ঘটনা এখনও তাকে যন্ত্রণা দিচ্ছে। শুক্রবার রাতে গোল্ডেন শু হাতে নিয়েও তাই বললেন, 'আমি এটা (ইউরোপিয়ান গোল্ডেন শু) নিয়ে ভাবছি না। এই পুরস্কার আমার মাথায় নেই। আমরা কিংবা অন্তত আমি এখনও লিভারপুলের কাছে পরাজয়ের ক্ষত বয়ে বেড়াচ্ছি। আমি নিজেকে নিয়ে ভাবছি না।'
এদিকে শনিবার রাতে ভালেন্সিয়ার বিপক্ষে কোপা দেল রে’র ফাইনাল হেরে গেলে যে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে সবাইকে তা মনে করে দিয়েছেন বার্সা অধিনায়ক। তাইতো সোজাসাপ্টা বলে দিলেন, 'এটা ফাইনাল এবং না জিততে পারলে বর্তমান পরিস্থিতি আরও খারাপ করে হয়ে যাবে।'
(দ্য রিপেোর্ট/এনটি/মে ২৫, ২০১৯)