দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপি চেয়ারপাসন খালেদা জিয়ার বিচারের জন্য গত ১২ মে সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে আদালত স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন জারি করে সরকার। ওই প্রজ্ঞাপন প্রত্যাহার চেয়ে করা রিটের ওপর মঙ্গলবার (২৮ মে) শুনানির দিন নির্ধারণ করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এক আবেদনের কারণে দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) রিটে পক্ষভুক্ত করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

সোমবার (২৭ মে) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে রিটের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলী। তার সঙ্গে ছিলেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, কায়সার কামাল, এ কে এম এহসানুর রহমান প্রমুখ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম, আর দুদকের পক্ষে ছিলেন মো. খুরশীদ আলম খান।

এর আগে গত ২১ মে খালেদা জিয়ার অন্যতম আইনজীবী কায়সার কামাল সংশ্লিষ্ট প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার চেয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে একটি আইনি নোটিশ পাঠান। কিন্তু তার জবাব না পাওয়ায় গত ২৬ মে হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।

ওই আইনি নোটিশে দাবি করা হয়, গত ১২ মে আইন মন্ত্রণালয় থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। ওই প্রজ্ঞাপন অনুসারে খালেদা জিয়ার মামলা শুনানির জন্য পুরান ঢাকার সাবেক কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আদালত (বিশেষ জজ আদালত-৯) স্থানান্তর করে কেরানীগঞ্জে নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই প্রজ্ঞাপন বেআইনি। কারণ, সংবিধানের ৩৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে, যে কোনও বিচার হতে হবে উন্মুক্তভাবে। কারাগারের একটি কক্ষে উন্মুক্তভাবে বিচার হতে পারে না। ফলে এই প্রজ্ঞাপন সংবিধানবিরোধী।

নোটিশে আরও বলা হয়,একইসঙ্গে কোথায় কোথায় কারাগার স্থানান্তরিত হতে পারে তা ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে দেওয়া আছে। ফৌজদারি কার্যবিধি আইনে কোথাও উল্লেখ নেই যে, কারাগারের মধ্যে আদালত স্থাপন হতে পারে। সুতরাং সংবিধান ও ফৌজদারি আইনের বিরুদ্ধে সরকার অবস্থান নিয়েছে বলেও নোটিশে উল্লেখ করা হয়।

(দ্য রিপোর্ট/এনটি/মে ২৭, ২০১৯)