হোটেল মোটেল বিমানে টিকিট বুকিং বেড়েছে
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: ঈদের ছুটিতে ভ্রমণপিপাসুরা বরাবরের মতো এবারও বেড়াতে যাবেন বিভিন্ন পর্যটন গন্তব্যে। এরই মধ্যে সিলেট, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি ও খাগড়াছড়ির হোটেল-মোটেল-রিসোর্টে অগ্রিম বুকিং দিয়েছেন অনেকে। ঈদ যত সামনে আসবে, বুকিংও তত বাড়বে বলে আশা করছেন সংশ্নিষ্টরা।
এদিকে প্রিয়জনের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে সড়ক, ট্রেন যোগাযোগের পাশাপাশি আকাশপথেও উড়াল দেবেন যাত্রীরা। এজন্য সরকারি-বেসরকারি এয়ারলাইন্সের বেশিরভাগ টিকিট এরই মধ্যে বুক হয়ে গেছে।
৩ জুন নির্বাহী আদেশে ছুটি ঘোষণা হলে এবার টানা ৯ দিন ছুটি কাটানো যাবে। লম্বা ছুটিতে দেশের পর্যটন নগরী কক্সবাজার, তিন পার্বত্য জেলা, সিলেটসহ দেশ-বিদেশের নানা গন্তব্যে বেড়াতে যাবেন পর্যটকরা।
বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) জিয়াউল হক হাওলাদার জানান, এবার সিলেট, কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙামাটি, খাগড়াছড়ির মোটেলগুলোতে ভালো সাড়া পাওয়া যাচ্ছে। এগুলোতে ২০ ভাগ ছাড় রয়েছে। তবে গরমের দিন হওয়ায় ঈদের পরে উত্তরবঙ্গের মোটেলগুলোতেও এবার বেশ ভিড় হবে বলে তিনি জানান।
এসব জায়গায় আম, লিচুসহ মৌসুমি ফলের টানে অনেকেই ছুটে যাবেন। এদিকে পর্যটননগরী কক্সবাজারের হোটেল মালিকরা জানিয়েছেন, এবার এখন পর্যন্ত তারা আশানুরূপ সাড়া পাচ্ছেন না। তীব্র গরম, কালবৈশাখীসহ আবহাওয়াজনিত কারণে পর্যটকরা এখনও সেভাবে বুকিং দিচ্ছেন না বলে ধারণা তাদের।
কক্সবাজারের ফেডারেশন অব ট্যুরিজম ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম শিকদার জানান, এবার বুকিং তুলনামূলক কম। এখনও ২০ ভাগও পূরণ হয়নি। আগামী সপ্তাহে চূড়ান্তভাবে পর্যটকদের চাপ বোঝা যাবে।
বাংলাদেশ বিমানের মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) শাকিল মেরাজ সমকালকে জানান, ঈদ সামনে রেখে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশি বিভিন্ন রুটে তারা অতিরিক্ত ফ্লাইটের ব্যবস্থা করেছেন। এরই মধ্যে অভ্যন্তরীণ রুটের ৮০ ভাগ টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় টিকিটের দামও বেড়েছে।
তিনি জানান, ঢাকা-যশোর রুটে বর্তমানে সপ্তাহে ১২টি, ঢাকা-কক্সবাজার ১৪ ও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে ৩৫টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। ঢাকা-বরিশাল ও ঢাকা-রাজশাহী রুটেও অতিরিক্ত ফ্লাইট নেওয়া হয়েছে। ফলে ঈদের বাড়তি চাহিদা মেটানো যাবে। ছুটিতে চাহিদা মেটাতে চট্টগ্রাম, সিলেট ও কক্সবাজার রুটে বোয়িং-৭৩৭ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। পর্যটননগরী কক্সবাজারের টিকিটের ভালো চাহিদা রয়েছে।
একই সঙ্গে ঈদ উপলক্ষে মালয়েশিয়া, সৌদি আরব ও সিঙ্গাপুরেও বাড়তি ফ্লাইট থাকছে বলে তিনি জানান।
বেসরকারি এয়ারলাইন্সগুলোর মধ্যে ইউএস-বাংলা সম্প্রতি তাদের বহরে যুক্ত করেছে নেক্সট জেনারেশন এয়ারক্রাফট এটিআর-৭২-৬০০। সংস্থার মহাব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম (মার্কেটিং, সাপোর্ট অ্যান্ড পিআর) জানান, ঈদ সামনে রেখে ৩০ মে থেকে ৪ জুন পর্যন্ত এবং ঈদের পরে ৮-১১ জুন পর্যন্ত যশোর, বরিশাল ও রাজশাহী রুটে অতিরিক্ত ফ্লাইট রাখা হয়েছে। নিয়মিত ফ্লাইটগুলো এরই মধ্যে পূর্ণ হয়ে গেছে। অতিরিক্তগুলোতে এখনও আসন খালি আছে। সবমিলিয়ে ৭০-৭৫ ভাগ টিকিট বুকিং হয়েছে বলে তিনি জানান। ঈদের পর কক্সবাজারে চাপ বাড়বে বলে তারা আশা করছেন।
নভো এয়ারের সিনিয়র ম্যানেজার মাহফুজুল আলমের মতে, ঈদের ছুটি লম্বা হওয়ায় যাত্রীরা ভাগ হয়ে যাচ্ছে। তাই এবার তুলনামূলক কম বুকিং হচ্ছে। ঈদ যত সামনে আসবে তত বুকিং বাড়বে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/মে ২৯, ২০১৯)