জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৩৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৮১ সালের এই দিনে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে সেনাবাহিনীর কিছু সদস্যের হাতে তিনি নিহত হন।
এরপর থেকে বিএনপি ও সমমনা দল এবং এর অঙ্গসংগঠনগুলো দিনটিকে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী হিসেবে পালন করে আসছে।
মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ১০ দিনের কর্মসূচি পালন করছে বিএনপি। ২২ মে থেকে ৩১ মে পর্যন্ত এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
এর অংশ হিসেবে বুধবার বিএনপির উদ্যোগে ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
দিনটি উপলক্ষে আজ সকাল ৬টায় নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। নেতাকর্মীরা কালো ব্যাজ ধারণ করবেন।
কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে সকাল ১০টায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর দলের সিনিয়র নেতাদের নিয়ে শেরেবাংলা নগরে জিয়ার মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
মাজার প্রাঙ্গণে ওলামা দলের উদ্যোগে দোয়া মাহফিলে অংশ নেবেন তিনি।
এছাড়া ড্যাবের উদ্যোগে সকাল থেকে নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে মেডিকেল ক্যাম্প ও বিনামূল্যে চিকিৎসাসেবা দেয়া হবে।
বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো তাদের সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা, পোস্টার প্রকাশ ও ইফতারের আয়োজন করবে।
এছাড়া সারা দেশে জেলা বিএনপি ৩০ মে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা উত্তোলন ও কালো পতাকা অর্ধনমিত করবে এবং তাদের সুবিধা অনুযায়ী আলোচনা সভা ও ইফতার সামগ্রী বিতরণ করবে।
ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি দুস্থদের মধ্যে কাপড়, ইফতার বিতরণ করা হবে। প্রতি বছর রাজধানীর গরিবদের মাঝে খাবার বিতরণ করেন দলটির চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া। মহানগর বিএনপির উদ্যোগে শতাধিক স্পটে এ খাবার বিতরণ করা হতো। কিন্তু এবার খালেদা জিয়া কারাগারে থাকায় তা সীমিত আকারে পালন করা হচ্ছে।
মাজার জিয়ারতের পর দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গরিবদের মাঝে ইফতারসামগ্রী, খাবার ও কাপড় বিতরণ করবেন। মহাখালীর আজরত পাড়াসহ কয়েকটি স্পটে এসব বিতরণ করা হবে। এছাড়াও শুক্রবার মিরপুর কাজীপাড়া বাস স্ট্যান্ডসহ ৬টি স্পটে গরিবদের মাঝে ইফতারসামগ্রী, খাবার ও কাপড় বিতরণ করা হবে।
দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাণী দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, দেশের দুঃসময়ে শক্ত হাতে হাল ধরেন জিয়াউর রহমান। তার জনপ্রিয়তা দেশি-বিদেশি চক্রান্তকারী শক্তি কখনোই মেনে নিতে পারেনি। তাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। তবে জনগণের হৃদয়ে চিরজাগরূক হয়ে অবস্থান করছেন তিনি।
ফখরুল বলেন, বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকার দেশে একদলীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে। কেন্দ্রীভূত স্বৈরতন্ত্রের প্রতিভূ বর্তমান সরকার। এরা নতুন কায়দায় পুরনো বাকশালকে পুনরুজ্জীবিত করেছে। বিরোধী দলের অধিকার, চিন্তা ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা ভূলুণ্ঠিত করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়েছে। সেজন্য দেশনেত্রী খালেদা জিয়াকে মিথ্যা তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সাজানো মামলায় অন্যায়ভাবে সাজা দিয়ে কারাগারে বন্দি করে রাখা হয়েছে। এ যেন গণতন্ত্রকেই কারাগারে আটকে রাখা। তাকে নিঃশর্ত মুক্তি দিতে হবে। এই মুহূর্তে আমাদের একমাত্র লক্ষ্য বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা।
১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অন্যতম সেক্টর কমান্ডার হিসেবে জিয়াউর রহমান ভূমিকা রাখেন। ‘জেড ফোর্স’র অধিনায়ক হিসেবে রণাঙ্গনে যুদ্ধ করেন তিনি।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেনাবাহিনীর বিপথগামী কিছু সদস্যের হাতে নির্মমভাবে নিহত হওয়ার পর জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নেন। একই বছর ৭ নভেম্বর তিনি প্রধান সামরিক আইন প্রশাসক হিসেবে রাষ্ট্রক্ষমতায় বসেন।
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর জিয়াউর রহমানের হাত ধরে যাত্রা শুরু করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ মে ৩০,২০১৯)