দখিন-দুয়ার

প্রিয়া আমার ভাঙা ঘরের ঘাসের উপর স্বপ্ন দেখে
ভাঙা সিঁড়ি- দালানকোঠা ভাগ্যে আছে!
দোষ তাতে নেই খোলা মাঠের পাখি হবো
পরস্পরের ভালোবাসার রাখি হবো।

অবাক হবো- দুজন দুজন চোখের তারায়
সন্ধ্যে-সকাল সাগর হবো ক্লান্তিনাশের
ধ্রুবতারায় উঠবে জেগে স্মৃতির পাতা
তখন আমার উদাস প্রহর হারিয়ে যাবে।

কালো রাতের আঁধার চিরে বজ্র নামে
তখন দুজন নিদাঘকালের বন্ধু হবো।

বিত্ত মাঝে চিত্ত যদি বন্দি পাখি
কোথায় তুমি কোথায় আমি- সুদূর ফারাক।

তাইতো তুমি ভালোবাসার দখিন-দুয়ার
রোমন্থনে পিয়াস হৃদয় তৃপ্ত হবে।


ধূসর দৃষ্টির ওপারে

কেউ বললো-
বিশ্রামের জন্য জায়গাটা নিরাপদ নয়।

ধূসর দৃষ্টির লোকটি বললো-
ছিয়াত্তর বয়স।
বারো কিলোমিটার হেঁটে এসেছি
মনে হচ্ছে আর একট্ওু যেতে পারব না।
আমি পশু-পাখি দেখাশোনা করতাম
কামান চলবে, ক্যাপ্টেন বললেন-
শহর ছেড়ে যাও।
সব ছেড়ে আসতে হলো আমাকে।

কী কী প্রাণি ছিল তোমার?

দু’টো ছাগল
একটা বিড়াল
আর চার জোড়া পায়রা।

পরিবার-পরিজন কেউ নেই?

না। কেবল জন্তুগুলো ছাড়া।
অবশ্য বিড়ালটার অসুবিধা হবে না
নিজের ব্যবস্থা নিজে করে নেবে-
কিন্তু অন্যরা?

তারাও ঠিক দুর্দিনে পার হয়ে যাবে।

তা-ই কী মনে হয়?

নিশ্চয়।
কোন রাজনীতি বিশ্বাস করতে তুমি?

বিশেষ কোনও রাজনীতি নেই।
তবে আমি তো পালিয়ে এলাম
কামান চলতে শুরু করলে
ওরা কী করবে বলো তো?

পায়রার খোপগুলো খোলা রেখেছিলে?

হ্যাঁ।

তাহলে ঠিক উড়ে যাবে।

হ্যাঁ, তারা তো উড়ে যাবে। কিন্তু অন্যরা?

অন্যদের কথা না ভাবাই ভালো।
এখন বিশ্রাম নেয়া হলে হাঁটতে চেষ্টা করো।

ধন্যবাদ।

সে উঠে দাঁড়ালো
এবং টলমল করে দুলতে দুলতে
ধূলোর উপর বসে পড়ল আবার।

লোকটি উদ্দেশ্যহীন বলে চলল-
আমি পশু-পাখি দেখাশোনা করতাম।
বিড়ালরা নিজেদের ব্যবস্থা নিজেরাই করে নিতে পারে।
কিন্তু অন্যেরা!

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/মে ৩১,২০১৯)