জয়ের দেখা পেলো পাকিস্তান ১১ ম্যাচ পর
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : পাকিস্তানের ইতিহাসে সবচেয়ে লজ্জাজনক একটা সময় পার হলো। অবশেষে সেই সময়টা পার করে সাফল্যের দেখা মিলেছে সরফরাজ আহমেদের দলের। ওয়ানডে ক্রিকেটে টানা ১১ ম্যাচ হারের পর অবশেষে জয়ের দেখা পেলো পাকিস্তান। ট্রেন্টব্রিজে আজ ইংল্যান্ডকে তারা হারালো ১৪ রানের ব্যবধানে।
সর্বশেষ জানুয়ারির ২৭ তারিখে জয়ের দেখা পেয়েছিল পাকিস্তান। জোহানেসবার্গে প্রোটিয়াদের ১৬৪ রানে বেধে রাখার পর তারা জিতেছিল ৮ উইকেটের ব্যবধানে। এরপর সিরিজের শেষ ম্যাচে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে তারা হেরেছে ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
সেই যে হারের বৃত্ত শুরু হলো, সেই বৃত্ত ভাঙতে অন্তত ৬ মাস এবং ১১ ম্যাচ লাগলো সরফরাজ আহমেদের দলের। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপ শুরুর আগে প্রস্তুতি ম্যাচে আফগানিস্তানের কাছেও হেরেছিল তারা। সেটাসহ হিসেব করলে টানা ১২টি ওয়ানডেতে হার পাকিস্তানের।
হারের বৃত্তই যেন তারা ভাঙতে পারছিল না। বিশ্বকাপে নিজেদের উদ্বোধনী ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়ে জন্ম দিয়েছিল সবচেয়ে বড় লজ্জার। মাত্র ১০৫ রানে অলআউট হয়েছিল তারা। হেরেছিল ৭ উইকেটের ব্যবধানে।
অবশেষে ইংল্যান্ডের সামনে ৩৪৯ রানের লক্ষ্য ছুঁড়ে দিয়ে ১৪ রানের জয় পেলো তারা। জো রুট আর জস বাটলার সেঞ্চুরি করেও জেতাতে পারলেন না ইংল্যান্ডকে।
বিশ্বকাপে আসার আগে ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে নিজেদের হোম ভেন্যু আরব আমিরাতে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান। যেখানে অবশ্য তাদের সেরা ৫-৬জন ক্রিকেটারই খেলেননি। বিশ্রাম দেয়া হয়েছিল তাদের। কিন্তু ওই ৫ ম্যাচে পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে আত্মবিশ্বাসে পরিপূর্ণ হয়ে দেশে ফিরেছিল অস্ট্রেলিয়া।
ওই ৫ ম্যাচে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা ঠিকই রান পেয়েছিল। একটিমাত্র ম্যাচ ছিল লো স্কোরিং। প্রথম ম্যাচে পাকিস্তান করেছিল ২৮০ রান। দ্বিতীয় ম্যাচে করেছে ২৮৪। তৃতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার করা ২৬৬ রানের জবাবে পাকিস্তান অলআউট হয়েছিল ১৮৬ রানে।
চতুর্থ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ২৭৭ রান। জবাব দিতে নেমে পাকিস্তান থেমেছে ২৭১ রানে। শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়া করেছিল ৩২৭ রান। জবাবে পাকিস্তান গিয়েছিল ৩০৭ রান পর্যন্ত।
বিশ্বকাপের ঠিক আগে ইংল্যান্ডের মাঠে গিয়ে স্বাগতিকদের বিপক্ষেও পাকিস্তান খেলেছিল ৫ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। যার প্রথমটি ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। পরের চার ম্যাচের প্রতিটিতেই পাকিস্তানের রান ৩০০ প্লাস কিংবা কাছাকাছি। অর্থ্যাৎ, ওই চার ম্যাচের একটিতে সর্বনিম্ন তারা করেছিল ২৯৭ রান। তবুও, ইংল্যান্ডের কাছে চার ম্যাচের প্রতিটিতেই হারতে হয়েছিল তাদের।
প্রথম ম্যাচ ভেসে গিয়েছিল বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ড করেছিল ৩৭৩ রান। জবাবে পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরাও করেছিলো ৩৬১ রান। পরের ম্যাচে পাকিস্তান প্রথমে ব্যাট করে স্কোরবোর্ডে তুলেছিল ৩৫৮ রান। বোলারদের ব্যর্থতায় এই ম্যাচেও হার। ইংল্যান্ড ৪৪.৫ ওভারেই ৪ উইকেট হারিয়ে লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। চতুর্থ ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করেছিল পাকিস্তান করেছিল ৩৪০ রান। এই ম্যাচেও হারতে হলো তাদের। ইংলিশরা ৩ বল এবং ৩ উইকেট হাতে রেখেই পৌঁছে যায় জয়ের বন্দরে।
সিরিজের শেষ ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে ৩৫১ রান করেছিল ইংল্যান্ড। জবাব দিতে নেমে এই ম্যাচে শুধুমাত্র ৩০০ স্পর্শ করতে পারেনি পাকিস্তানিরা। করেছে ২৯৭ রান। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে এসে চরম ভরাডুবি। ১০৫ রানে অলআউট। অবশেষে ১২তম ম্যাচে এসে ৩৪৯ রান করে জিততে পেরেছে পাকিস্তান।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/ জুন ০৪,২০১৯)