বৃষ্টি না হলে জাতীয় ঈদগাহেই প্রধান জামাত
![](https://bangla.thereport24.com/article_images/2019/06/04/eid-jamat2-20190604155013.jpg)
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: রাজধানীর সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে সকাল সাড়ে ৮টায় অনুষ্ঠিত হবে ঈদুল ফিতরের প্রধান জামাত। তবে ঝড় বৃষ্টি হলে জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে সকাল ৯টায় প্রধান জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের জ্যেষ্ঠ পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা মো. মিজানুর রহমানের ইমামতিতে রাষ্ট্রপতিসহ মহানগরীর লাখো মুসল্লি এতে অংশগ্রহণ করবেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান মুখ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আবহাওয়া যদি বিশেষ কোনো বিপর্যয় না ঘটে তাহলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানেই দেশের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে। এটাই হলো ফাইনাল কথা। জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের জন্য আমাদের পক্ষ থেকে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি, এখন সম্পূর্ণভাবে মাঠ প্রস্তুত রয়েছে। বাকি যা যা করণীয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী করবে। নিরাপত্তাসহ সার্বিক দায়িত্ব তাদের। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী আবহাওয়া প্রতিকূল (অতিবৃষ্টি) না হলে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানেই দেশের প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হবে।’
নারী, বিদেশি রাষ্টদূত ও কূটনৈতিকদের জন্য ঈদগাহে আলাদা জায়গা থাকবে। ভিভিআইপি ও ভিআইপিসহ সর্বস্তরের মানুষ ঈদের নামাজে অংশ গ্রহণ করবেন বলেও জানান তিনি।
ঈদ জামাতকে ঘিরে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশপাশে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলেও জানা গেছে।
আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলে জাতীয় ঈদগাহে প্রধান জামাত অনুষ্ঠানের পাশাপাশি বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে আরও পাঁচটি ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। বায়তুল মোকাররমে প্রথম জামাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৭টায়। এরপর পর্যায়ক্রমে সর্বশেষ জামাত অনুষ্ঠিত হবে।
তবে সরকারের পক্ষে ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, আবহাওয়া প্রতিকূল (অতিবৃষ্টি) হলে বিকল্প হিসেবে প্রধান জামাত জাতীয় ঈদগাহের পরিবর্তে বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৯টায়।
এদিকে ঈদের জামাতের জন্য শেষ মুহূর্তের প্রস্ততি চলছে জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে। মঙ্গলবার দুপুরে সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, র্যাবের পক্ষ থেকে নিরাপত্তা মনিটরিং করার জন্য ৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা লাগানোর কাজ চলছিল।
শেষ পর্যায়ের টুকিটাকি কাজ নিয়ে ব্যস্ত কর্মীরা। মাঠের আশপাশে গাছে এবং ইমামের মেহরাবের মধ্যে রং লাগানো, সিলিং ফ্যান, মাইক ও সিসিটিভি লাগানোসহ ছোটখাট কাজ ছাড়া বাকি সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
গত রোববার (২ জুন) সকালে ঈদগাহের প্রস্তুতি পরিদর্শন শেষে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র সাঈদ খোকন জানিয়ে ছিলেন, প্রধান জামাতে একসঙ্গে একলাখ মুসল্লি অংশ নিতে পারবেন।
এবারও জাতীয় ঈদগাহে এক লাখ মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাখা হয়েছে প্রায় ছয় হাজার নারী মুসল্লির নামাজের ব্যবস্থা। অজু ও অন্যান্য সুযোগ সুবিধার জন্য রাখা হয়েছে পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা।
ঈদের প্রধান এ জামাতে অংশ নেবেন রাষ্ট্রপ্রধান, মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ লাখো মুসল্লি।
মুসল্লিদের নিরাপত্তায় একটি গেটে পুরুষ এবং অপর একটি গেটে নারী। অন্যদিকে রাষ্ট্রপতি ও ভিআইপিদের জন্য অপর গেট খোলা থাকবে। তবে দেহ তল্লাশি করে মাঠের ভেতরে প্রবেশ করানো হবে। একসঙ্গে ১৪০ জন মুসল্লি অজু করবেন সেই ব্যবস্থাও থাকবে। এ ছাড়াও অজুর জন্য ওয়াসার পক্ষ থেকে পানি এবং খাওয়ার পানির ব্যবস্থা থাকবে। মুসল্লিদের নামাজ পড়ার সুবিধার্থে মাঠজুড়ে ৬০টি মাইক লাগানো হয়েছে।
(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ০৪, ২০১৯)