দ্য রিপোর্ট ডেস্ক : "প্রিয় প্রতিপক্ষ কি না জানিনা, তবে নিউজিল্যান্ডের সাথে আমার কিছু ভালো ইনিংস আছে, কিছু ভালো বোলিং আছে, দল হিসেবেও আমার ভালো লাগে," প্রিয় প্রতিপক্ষ কে? এমন প্রশ্নে এই উত্তর দেন সাকিব আল হাসান।

বাংলাদেশ ওয়ানডে দলের সহ-অধিনায়ক নিউজিল্যান্ডকে অন্যতম প্রিয় দেশও বলেন।

সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ডার সত্তার উত্থান যখন ঘটে, তখন সাকিবকে তুলনা করা হতো নিউজিল্যান্ডের তৎকালীন অধিনায়ক ড্যানিয়েল ভেট্টোরির সাথে।

তবে সেই লড়াইয়ে সাকিব অনেক আগেই বিজয়ী।

সাকিবের নৈপুণ্যে ২০১০ সালেই বাংলাদেশ নিউজিল্যান্ডকে হোয়াইট ওয়াশ করে বাংলাদেশ।

সাকিবের হাতের ব্যাট আর বল নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সবসময়েই উজ্জ্বল হয়ে উঠেছে।

ওয়ানডে ক্যারিয়ারে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিবের দুটি সেঞ্চুরি আছে।

টেস্টেও ২১৭ রান তোলেন নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে।

আর এবারে সাকিবের একটা উপলক্ষও আছে।

এবার ক্যারিয়ারের ২০০তম ম্যাচ খেলতে যাচ্ছেন সাকিব।

এরপরে ২০০ ম্যাচ স্পর্শ করা তৃতীয় বাংলাদেশি ক্রিকেটার হবেন বিশ্বে এক নম্বর ওয়ানডে অলরাউন্ডার।

নিউজিল্যান্ড বনাম সাকিব আল হাসান

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সাকিব আল হাসান ২১ ম্যাচ খেলেছেন।

সবমিলিয়ে রান তুলেছেন ৫৭৫। এর মধ্যে সর্বোচ্চ রান ছিল ১১৪।

কার্ডিফে ২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সাকিব আল হাসান, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের সাথে জুটি বেঁধে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জেতান। ৩৩ রানে চার উইকেট যাওয়ার পর হাল ধরেছিলেন এই দুজন।

নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে এই ২১ ম্যাচে সাকিব সবমিলিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৩৫টি। বলা যায়, প্রতি ৩০ রানে একটি করে উইকেট নিয়েছেন সাকিব আল হাসান।

২০১০ সালে নিউজিল্যান্ডের তখনকার নবাগত কেইন উইলিয়ামসন ও সাকিব একই ম্যাচে সেঞ্চুরি করেন। সেই ম্যাচে বাংলাদেশ জয় পায়।

সেই উইলিয়ামসন এখন নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক।

ম্যাচের আগের দিন টম ল্যাথামও বলছিলেন, নিউজিল্যান্ডের চিন্তার অনেকটা জায়গা জুড়ে সাকিব আল হাসান।

পার্থক্য গড়ে দেওয়ার মতো খেলা খেলতে পারেন সাকিব, এমন মত নিউজিল্যান্ডের এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যানের। সূত্র : বিবিসি

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ০৫,২০১৯)

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ০৫,২০১৯)