টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ উপলক্ষে সাজছে বন্দরনগরী
বিশেষ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম : টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষে চট্টগ্রাম নগরীকে নান্দনিক সাজে সাজানোর চেষ্টা করছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন।
করপোরেশনের পাবলিক রিলেশন কর্মকর্তা সাইফুদ্দিন জানান, টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ ক্রিকেট খেলা চট্টগ্রামে ১৬ মার্চ থেকে শুরু হবে। ইতোমধ্যে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের খেলোয়াড় ও পর্যটকরা নগরীর বিভিন্ন আবাসিক হোটেলে অবস্থান নিয়েছেন। বিশ্ব দরবারে চট্টগ্রামের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি তুলে ধরার লক্ষ্যে নগরীকে নান্দনিক সাজে সাজানো, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, আলোকসজ্জাসহ নগরীর ইতিহাস ও ঐতিহ্য তুলে ধরার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, নগরীর বিমানবন্দর, নৌবন্দর, সামরিক-বেসামরিক, ব্যক্তিগত, স্বায়ত্তশাসিত, আধা স্বায়ত্তশাসিত, সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, শিল্প প্রতিষ্ঠান, ফুটপাত, ডিভাইডার, নার্সারি, সড়ক দ্বীপসহ নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক, আবাসিক এলাকা, সার্কিট হাউস, জহুর আহমদ চৌধুরী ও এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকা আলোকায়ন এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও চত্বরে ইতিহাস ঐতিহ্যের ভিত্তিতে বিউটিফিকেশন করা হচ্ছে।
নগরীর লালখান বাজার ও ইস্পাহানী মোড়ে খেলোয়াড়দের প্রোট্রেট, পুলিশ লাইনসের সামনে গ্রাম বাংলার বাউল হেরিটেজ, টাইগার পাসে পাহাড়ের বিউটিফিকেশন, এয়ারপোর্ট ও সিটি গেট এলাকায় খেলোয়াড়দের প্রোট্রেট, আগ্রাবাদ মোড়ে জাতীয় স্থাপনার নিদর্শন, এয়ারপোর্ট এলাকায় সাম্পান, মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রতিকৃতি, অংশগ্রহণকারী দেশসমূহের জাতীয় পতাকা প্রদর্শন, এম এ আজিজ স্টেডিয়াম এলাকায় খেলোয়াড়দের প্রোট্রেট, দামপাড়া ওয়াসা মোড়ে ঘৌড়দৌড়ের দৃশ্য স্থান পাবে।
এ ছাড়াও জিইসি মোড়ে এলইডি লাইট ম্যুরাল, টাইগার পাসে এলইডি লাইট ম্যুরালসহ মোহনীয় সাজে বন্দরনগরীকে সাজানোর কাজ চলছে।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম জানান, ‘আমি নিজেই সৌন্দর্য বৃদ্ধির কাজ তত্ত্বাবধান করছি।’ তিনি টোয়েন্টি২০ বিশ্বকাপ সফলভাবে সম্পন্ন করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
২০১১ সালের বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলক্ষেও নগরীকে নান্দনিক সাজে সাজানো হয়েছিল।
(দ্য রিপোর্ট/কেএইচ/এমএআর/এজেড/মার্চ ১১, ২০১৪)