হাল ছাড়ছেন না মাশরাফি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিশ্বকাপ পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ চার দল যথাক্রমে—অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ভারত। এই চার দলের পরেই পাঁচে বাংলাদেশ। টেবিলের শীর্ষ চার দল খেলবে সেমিফাইনালে। বাংলাদেশ পাঁচে থাকলেও হাতে থাকা ম্যাচসংখ্যায় ভারত, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের চেয়ে পিছিয়ে, রান রেটেও। কাল অস্ট্রেলিয়ার কাছে হারের পর অনেকেই বাংলাদেশের সেমিতে ওঠার স্বপ্নের সমাধি দেখছেন। কিন্তু মাশরাফি বিন মুর্তজা এখনই হাল ছাড়ছেন না। তাঁর বিশ্বাস, সামনে কী ঘটবে তা এখনই নিশ্চিত করে বলা যায় না।
এখনো বাংলাদেশের সেমিফাইনাল খেলা নিয়ে আত্মবিশ্বাসী মাশরাফি। কাল সংবাদমাধ্যমকে এ কথাই বলেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘এখনো কিছুই বলা যাচ্ছে না। আরও তিন ম্যাচ হাতে আছে, আমাদের আরও ভালো খেলতে হবে তারপর দেখা যাবে।’
৬ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট তালিকার শীর্ষে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ ৫ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট। তাদের সমান ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে তিনে ইংল্যান্ড। চারে থাকা ভারতের সংগ্রহ ৪ ম্যাচে ৭ পয়েন্ট। বাংলাদেশ ভারতের চেয়ে ২ পয়েন্ট ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও খেলেছে ২টি ম্যাচে বেশি— ৬ ম্যাচ। বিশ্লেষকদের ধারণা, শীর্ষ চার দলের কাউকে ধরার তেমন কোনো সম্ভাবনাই নেই বাকি দলগুলোর। মাশরাফি ভেবেছিলেন টুর্নামেন্টের এ পর্যায়ে শীর্ষ চারটি দল দু-একটি করে ম্যাচ হারবে আর তাতে লাভবান হবে পিছিয়ে থাকা দলগুলো। কিন্তু টুর্নামেন্টে এখনো পর্যন্ত সেই সম্ভাবনা খুব কম। ভারতের কথাই ধরুন, বাকি পাঁচ ম্যাচের মধ্যে ভারতকে কঠিন চ্যালেঞ্জ জানানোর দল শুধু ইংল্যান্ড। সাধারণ হিসেব হলো, অন্য চার ম্যাচে ভারতের জেতার সম্ভাবনাই বেশি।
ইংল্যান্ড বাকি ৪ ম্যাচের মধ্যে আজই মুখোমুখি হবে তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষের—শ্রীলঙ্কা। বাকি তিন ম্যাচে স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ, অস্ট্রেলিয়া, ভারত ও নিউজিল্যান্ড। এভাবেও ভাবা যায়, এই তিন ম্যাচে ইংল্যান্ড হারল আর বাংলাদেশ নিজেদের শেষ তিন ম্যাচ জিতল তাহলেই তো হয়ে যায়! কিন্তু এই ভাবনা সাধারণ বাস্তবতার সঙ্গে কতটুকু যায়? ইংল্যান্ড কিন্তু এই বিশ্বকাপের সেরা দলগুলোর একটি। আর বাকি তিন ম্যাচে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ, আফগানিস্তান, ভারত ও পাকিস্তান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান, অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ড—নিজেদের শেষ চার ম্যাচে এই চার দলের মুখোমুখি হবে নিউজিল্যান্ড। এর মধ্যে মোটামুটি দুই ম্যাচ জিতলেই সেমি নিশ্চিত হয়ে যায় কিউইদের। আর অস্ট্রেলিয়ার শেষ তিন প্রতিপক্ষ—ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকা। এর মধ্যে একটি ম্যাচ জিতলেই তো হয়! বাংলাদেশের সম্ভাবনা তাই খুব কম। মোটামুটি হিসেব হলো, শুধু নিজেদের বাকি তিন ম্যাচ জিতলেই হবে না অন্য দলের পারফরম্যান্সের দিকেও তাকিয়ে থাকতে হবে।
অথচ মাশরাফি ভেবে রেখেছিলেন অন্য কিছু, ‘আমরা ভেবেছিলাম এ পর্যায় পর্যন্ত শীর্ষ দলগুলো কয়েকটি ম্যাচ হারবে আর তাতে টুর্নামেন্টের গতিপথও পাল্টে যাবে। তবে এখনো কিছু ম্যাচ হাতে আছে। তাই নিশ্চিত করে কিছুই বলা যায় না। দেখা যাক কী ঘটে।’
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২১,২০১৯)