প্রশ্নফাঁস মামলা
ঢাবি শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : প্রশ্নপত্র ফাঁস মামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ ১২৫ জনের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করা হয়েছে।
রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) বহুল আলোচিত এই মামলার চার্জশিট দাখিল করে।
অভিযুক্তরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ভর্তি পরীক্ষা, বিসিএস এবং সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই নিজাম উদ্দীন এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।
সূত্র জানিয়েছে, চার্জশিটভুক্ত ১২৫ জনের মধ্যে ৪৭ জন গ্রেফতার হয়েছে। বাকী আসামিরা পলাতক রয়েছেন। গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ৪৬ জন। বর্তমানে সব আসামি জামিনে আছেন। মামলার পরবর্তী কার্যক্রমের জন্য বুধবার দিন ধার্য করা হয়েছে।
সিআইডির এক কর্মকর্তা জানান, ২০১৭ সালের ১৯ অক্টোবর মধ্যরাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি আবাসিক হলে অভিযান চালিয়ে মামুন ও রানা নামে দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে পরদিন পরীক্ষার হল থেকে গ্রেফতার করা হয় ভর্তিচ্ছুক শিক্ষার্থী রাফিকে।
এ ঘটনায় ২০ অক্টোবর শাহবাগ থানায় একটি মামলা করা হয়। মামলার তদন্তে উঠে আসে, চক্রটি পরীক্ষা শুরুর আগেই প্রিন্টিং প্রেস থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নফাঁস করত। পর্যায়ক্রমে মোট ৪৭ জনকে গ্রেফতার করা হয়। পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করে চক্রে ১২৫ জনের সংশ্নিষ্ট থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। তাদের অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হয়েছে।
যাদের নামে চার্জশিট: মো. ইব্রাহিম, অলিপ কুমার বিশ্বাস, মো. মোস্তফা কামাল, মোঃ হাফিজুর রহমান, মো. মাসুদ রহমান তাজুল, মো. রিমন হোসেন, মো. মহিউদ্দিন রানা, মো. আইয়ুব আলী বাধন, আবদুল্লাহ আল মামুন, ইশরাক হোসেন রাফি, মো. জাহাঙ্গীর আলম, মো. মামুন মিয়া, অসিম বিশ্বাস, মো. অনোয়ার হোসেন, মো. নুরুল ইসলাম, মো. হাসমত আলী সিকদার, হোসনে আরা বেগম, গোলাম মো. বাবুল, টি এম তানভির হাসনাইন, সুজাউর রহমান সাম্য, রাফসান করিম, মো. আখিনুর রহমান অনিক, নাজমুল হাসান নাঈম, ফারজাদ ছোবহান নাফি, আনিন চৌধুরী, রকিবুল হাসান ইসামী, বনি ইসরাইল, মো. মারুফ হোসেন, সাইফুল ইসলাম, খান বহাদুর, কাজী মিনহাজুল ইসলাম, নাহিদ ইফতেখার, রিফাত হোসেন, মো. বায়জিদ, ফারদিন আহম্মেদ সাব্বির, তানভির আহম্মেদ মল্লিক, প্রসেনজিত দাস, মো. আজিজুল হাকিম, নাভিদ আনজুম তনয়, সালমান এফ রহমান হৃদয়, সজীব আহাম্মেদ, শিহাব হোসেন খান, এনামুল হক আকাশ, মোশারফ মোসা, মোহায়মেনুল ইসলাম বাঁধন, সাইদুর রহমান, আব্দুর রহমান রমিজ, গোলাম রাব্বী খান জেনিথ, উৎপল বিশ্বাস, বেলাল হোসেন বাপ্পী, মো. মশিউর রহমান সমীর, মো. আবু জুনায়েদ সাকিব, মোস্তাফিজ-উর-রহমান মিজান, আবুল কালাম আজাদ, শরমিলা আক্তার আশা, মাসুদ রানা, জেরিন হোসাইন, শেখ জাহিদ বিন হোসেন ইমন, তাজুল ইসলাম সম্রাট, আবির হাসান হৃদয়, মোর্শেদা আক্তার সালমান হাবিব আকাশ, আলামিন পৃথক, শাহ মেহেদী হাসান হৃদয়, অনিকা বৃষ্টি, ফিওনা মহিউদ্দিন মৌমি, সিনথিয়া আহম্মেদ, শাবিরুল ইসলাম সনেট, মো. লাভলুর রহমান লাভলু, মো. ইছাহাক আলী ইছা, মো. আব্দুল ওয়াহিদ মিশন, তানজিনা সুলতানা ইভা, ইশরাত জাহান ছন্দা, মো. আশেক মাহমুদ জয়, নাফিসা তাসনিম বিন্তী, প্রনয় পান্ডে, নুরুল্লাহ নয়ন, জিয়াউল ইসলাম, মো. আশরাফুল ইসলাম আরিফ, জাকিয়া সুলতানা, মো. শাদমান শাহ, সাদিয়া সিগমা, মো. রবিউল ইসলাম রবি, মেহেজাবীন অনন্যা, মো. রাকিবুল হাসান, এম. ফাইজার নাঈম সাগর, সাদিয়া সুলতানা এশা, সামিয়া সুলতানা, ফাতেমা আক্তার তামান্না, নওশীন আফরিন মিথিলা, আমরিন আলম জুটি, সুবহা লিয়ানা তালুকদার, মো. মোহাইমিনুল রায়হান ফারুক, সাফায়েতে নুর সাইয়ারা নোশিন, মো. মাসুদ রানা, ইখতেখার আলম জিসান, মো. রাকিব হাসান, মো. খালিদ হাসান, আজলান শাহ ফাহাদ, সৌভিক সরকার, মো. রিজন আহমদ পাঠান, মাহবুব আলম সিদ্দিকী সম্রাট, মো. হাসিবুর রশিদ, মোছা. আফসানা নওরিন ঋতু, মো. মারুফ হাসান খান, মো. তৌহিদুল হাসান আকাশ, শাহাৎ আল ফেরদৌস ফাহিম, আয়েশা আক্তার তামান্না, ফাতেমা তুজ জোহরা মীম, শ্বাষত কুমার ঘোষ শুভ, মো. রাসেল আলী, রাজীবুল ইসলাম রাজীব, মো. আবু মাসুম, জান্নাত সুলতানা, জিএম রাফসান কবির, সাগর সাহা, মো. সাদেকুল ইসলাম সুমন, মো. আব্দুল্লাহ, মো. খাইরুজ্জামান সরকার সুজন, মো. শাহেদ আহমেদ, মুহাইমিনুল ইসলাম মাসুদ, আশরাফুল আলম, মো. হাসিবুর রহমান রুবেল ও মো. মাকসুদুর রহমান শুভ।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৩,২০১৯)