দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা এখন ১৯৯২ বিশ্বকাপ। সেবার একদম খাদের কিনারা থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ইমরান খানের দল। এই বিশ্বকাপে ১৯৯২ আসরের সঙ্গে হুবহু মিল রেখে এগিয়ে যাচ্ছে পাকিস্তান।

আজ সেই আশায় বুক বেঁধে টুর্নামেন্টের লাস্ট বয় আফগানিস্তানের বিপক্ষে মাঠে নামছে পাকিস্তান। বিশ্বকাপ আসরের ৩৬তম ম্যাচে বিকেল সাড়ে ৩টায় হেডিংলিতে আফগানিস্তানের মুখোমুখি হচ্ছে তারা।

ম্যাচে ফেভারিট হলেও বেশ চাপেই রয়েছেন সরফরাজরা। সেমিফাইনালের দৌড়ে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই পাকিস্তানের কাছে।

এদিকে চাপমুক্ত হয়েই মাঠে নামবে রশিদ খানরা। অন্তত একটি জয় নিয়ে বিশ্বকাপ-১৯ কে বিদায় জানাতে চায় দলটি। আর সেটি যদি পাকিস্তানের বিপক্ষে হয় তবে দেশে সমর্থকরা ফুলের মালা নিয়ে তাদের জন্য অপেক্ষা করবে নিশ্চিত।

ম্যাচটি আফগানিস্তান বনাম পাকিস্তান হলেও একে ঘিরে চরম উত্তেজনা বিরাজ করবে বাংলাদেশি সমর্থকদের মাঝে। আজ বল টু বল উপভোগ করবে দেশবাসী।

সেমিতে ওঠার লড়াইয়ে পাকিস্তান এখন সরাসরি প্রতিদ্বন্দ্বী হওয়ায় এই ম্যাচে বাংলাদেশের শর্তহীন সমর্থন থাকবে আফগানিস্তানের পক্ষে। যে করেই হোক টাইগারদের সেমিফাইনালে ওঠার পথের বাধাকে থামাতেই হবে।

আজ জিতলে বাংলাদেশ (৭) ও ইংল্যান্ডকে (৮) টপকে পয়েন্ট টেবিলের চারে উঠে যাবে পাকিস্তান। আর হারলে তাদের সেমিতে ওঠার সমীকরণ কঠিন তো হবেই, তা আটকে যাবে বাংলাদেশের ওপরই।

আগামী ৫ জুলাই বাংলাদেশের বিপক্ষে ম্যাচ রয়েছে সরফরাজদের। দু দলেই বর্তমান পয়েন্ট ৭, যদিও রানরেটে অনেক এগিয়ে আছে টাইগাররা।

তবে আজ আফগানদের বিপক্ষে জিতলে বাংলাদেশকে অনেক পেছনে ফেলে শেষ চারে উঠে আসবে পাকিস্তান।

এদিকে আজ জয়ের ব্যাপারে পাক সমর্থকদের মতোই বেশ আশাবাদী আসরের অনেক ক্রিকেটাররা।

নিজেদের শেষ ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ছয় উইকেটে হারার পর নিউজিল্যান্ডের স্পিনিং অলরাউন্ডার মিচেল স্যান্টনার বলেছিলেন, ‘পাকিস্তান দলটাই এমন যে একবার মোমেন্টাম পেয়ে গেলে তাদের আর থামানো যায় না। ২০১৭ সালেও (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি) সেটা দেখেছি আমরা।’

এদিকে জয় প্রত্যাশা করতে পারে আফগানিস্তানও। বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে তারা তিন উইকেটে হারিয়েছিল পাকিস্তানকে।

সেই সুখস্মৃতিকে পুজি করে মাঠে নামবেন তারা। তবে আজ তার পুনরাবৃত্তি হলে আফগানদের লাভের চেয়ে বেশি লাভ বাংলাদেশরই হবে।

হেড-টু-হেড
ম্যাচ ৩
পাকিস্তান জয়ী ৩
আফগানিস্তান জয়ী ০

(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ২৯,২০১৯)