দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপরাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের বিত্তশালী শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল-মাকতৌমকে ছেড়ে জার্মানিতে পাড়ি জমিয়েছেন তার স্ত্রী প্রিন্সেস হায়া বিনতে আল হুসেইন। তবে যাওয়ার সময় ‘নতুন জীবন’ শুরু করতে নিয়ে গেছেন প্রায় ৩১ মিলিয়ন পাউন্ড। সঙ্গে পুত্র ও কন্যাকেও।

এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারি থেকে প্রায় ‘লাপাত্তা’ প্রিন্সেস হায়ার জার্মানিতে চলে যাওয়ার এ খবর শনিবার ছড়িয়ে পড়েছে সংবাদমাধ্যমে। বলা হচ্ছে, ৪৫ বছর বয়সী প্রিন্সেস হায়া ইউরোপের দেশটিতে গিয়ে ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ (অ্যাসাইলাম সিকার) চেয়েছেন এবং ৬৯ বছর বয়সী স্বামী শেখ মোহাম্মদের সঙ্গে বিচ্ছেদের নথি পাঠিয়ে দিয়েছেন। প্রিন্সেস হায়া জার্মানিতে আশ্রয় নেয়ার পর দেশটির সঙ্গে কূটনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে আরব আমিরাতের।

শেখ মোহাম্মদ তার স্ত্রী হায়া, ৭ বছর বয়সী পুত্র জায়েদ ও ১১ বছর বয়সী কন্যা আল জালিলাকে ফেরত দিতে বলেছেন বার্লিন কর্তৃপক্ষকে। তবে জার্মানির কর্তৃপক্ষ আরব আমিরাতের এই শাসকের বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে জানিয়েছে, প্রিন্সেস হায়া আশ্রয় চাওয়ায় তাকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে।

জর্দানের রাজকুমারী (প্রয়াত বাদশাহ হুসেইন বিন তালালের মেয়ে) প্রিন্সেস হায়া প্রথমে ব্রিটেনে আশ্রয় নেয়ার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু ব্রিটেন তাকে আমিরাতে ফেরত পাঠিয়ে দিতে পারে বলে শঙ্কা থেকে তিনি জার্মানিতেই পাড়ি জমান। সেখানে তিনি নতুন জীবন শুরু করতে চান।

অক্সফোর্ড স্নাতক সুদর্শনী হায়া ২০০৪ সালে শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদকে বিয়ে করেন। এটি শেখ মোহাম্মদের ষষ্ঠ বিয়ে। দুজনের প্রায় ১৫ বছরের সংসারে এসেছে আল জালিলা ও জায়েদ। গত বেশ কয়েক মাস ধরে শেখ মোহাম্মদের পরিবারে দ্বন্দ্বের খবর ছড়িয়েছে সংবাদমাধ্যমে। এই দ্বন্দ্বের জেরেই প্রিন্সেস হায়া ‘স্বামী-ত্যাগ’ করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।

প্রিন্সেস হায়া জানিয়েছেন, তিনি জার্মানিকে বেছে নিয়েছেন। কারণ ব্রিটেনের ওপর তিনি আস্থা রাখতে পারেননি। তিনি ব্রিটেনে গেলে তাকে দেশে ফেরত পাঠাতেন তারা।

প্রিন্সেস হায়ার এই সিদ্ধান্তের নিন্দা জানিয়ে ইনস্টাগ্রামে পোস্ট দিয়েছেন শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতৌম। তিনি তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে বিশ্বাসঘাতকতার অভিযোগ এনেছেন। তিনি বলেছেন, যার সঙ্গে ব্যস্ত থাকতে চাও তার কাছে যাও।

(দ্য রিপোর্ট/এমএসআর/জুন ৩০, ২০১৯)