দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক : জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। তার রক্তে সংক্রমণ বেড়েছে। ফুসফুসে পানি জমেছে। বিরোধীদলীয় নেতা এরশাদ স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে পারছেন না। নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) অক্সিজেন দেওয়া হচ্ছে সাবেক রাষ্ট্রপতি এরশাদকে।

রোববার দলের বনানী কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানিয়েছেন জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জিএম কাদের। সাবেক সেনাপ্রধান এরশাদকে লাইফ সাপোর্টে রাখার গুঞ্জন নাকচ করেছেন তার ছোট ভাই জিএম কাদের।

শনিবার জাপার ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান চিকিৎসকদের বরাতে জানিয়েছিলেন, এরশাদের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। জিএম কাদের জানান, শনিবার ফের এরশাদের অবস্থার অবনতি হয়। তবে চিকিৎসকরা আশাবাদী তিনি সুস্থ হয়ে উঠবেন। এরশাদকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বিদেশ নেওয়া হবে কি না তা চিকিৎসকদের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে।

৮৯ বছর বয়সী রাজনৈতিক এরশাদ প্রায় বছর খানেক ধরে বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগছেন। একাদশ নির্বাচনের আগে তিন দফায় সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নেন। ভোটের প্রচারে নামতে পারেননি জাপা প্রধান। নির্বাচনের পর শপথ নিতে হুইল চেয়ারে সংসদে যান। গত আট মাস ধরে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে দেখা যায়নি তাকে।

জিএম কাদের বলেন, এরশাদের অবর্তমানে জাপার হাল কে ধরবেন তা নিয়ে তারা ভাবছেন না। তারা আশাবাদী এরশাদ সুস্থ হয়ে আবার দলের নেতৃত্ব দেবেন।

গত বৃস্পতিবার সংসদে জাপার মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা বলেন, এরশাদের চিকিৎসার জন্য টাকা জোগাড় হয়নি। সংবাদ সম্মেলনে এ বক্তব্যের 'ব্যাখ্যা' দিয়ে রাঙ্গা দাবি করেন, তার বক্তব্য ভুলভাবে এসেছে গণমাধ্যমে। তিনি বিএনপির এমপি হারুনুর রশিদের বক্তব্যের জবাবে বলেছিলেন, দুর্নীতির মামলায় খালেদা জিয়া আজ কারাগারে। এরশাদ ক্ষমতায় থাকাকালে দুর্নীতি না করায় তার কাছে চিকিৎসার টাকা নেই।

জিএম কাদের বলেন, জাপা চেয়ারম্যানে চিকিৎসার জন্য টাকার সঙ্কট নেই। এরশাদ মন্ত্রী মর্যাদায় বিরোধীদলীয় নেতা। তিনি সাবেক রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধান। তার চিকিৎসার ব্যয় রাষ্ট্র বহন করবে।

জিএম কাদের বলেন, কারো প্রয়োজন নেই। আমার সর্বস্ব দিয়ে হলেও তো ভাইয়ের চিকিৎসা করাব।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, সুনীল শুভ রায়সহ জেষ্ঠ্য নেতারা।


(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুন ৩০,২০১৯)