ভারতের হার, চাপ বাড়ল বাংলাদেশের
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বাংলাদেশের ক্রিকেট সমর্থকরা খুব করে চাইছিলেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচটা ভারত যেন জেতে। ভারত প্রীতি নয় বরং শেষ চারের পথে বাংলাদেশের সম্ভাবনাটা উজ্জ্বল করতেই এমন চাওয়া। অন্যদিকে ইংল্যান্ডও ছিল খাদের কিনারে। জয় ভিন্ন দলটির সামনে কিছু ছিল না। যে কোনো মূল্যে জয় চাই এমন মন্ত্রে উজ্জীবিত ছিল ইংলিশরা। শেষ পর্যন্ত ভারতকে ৩১ রানে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে গেল ইংল্যান্ড।
ভারতের হারে কঠিন সমীকরণে আটকা পড়ল টাইগাররা। এখন সেমিতে যেতে শেষ দুই ম্যাচে টাইগারদের জিততেই হবে। সেই সঙ্গে শেষ ম্যাচে ইংল্যান্ডের হার কামনাও করতে হবে।
এজবাস্টনে রোববার টস জেতে ইংল্যান্ড। ছোট মাঠ, ব্যাটিং সহায়ক উইকেট। শুরুতে ব্যাট করা নিয়ে তাই ভাবতে হয়নি ইংল্যান্ডের। দুই ওপেনার জেসন রয় এবং জনি বেয়ারস্টো দুর্দান্ত শুরু করেন। তাদের জুটি থেকে আসে ১৬০ রান। ইংল্যান্ড পেয়ে যায় দারুণ ভিত্তি। সেখানে দাঁড়িয়ে তারা ভারতীয় বোলারদের পিটিয়ে ৩৩৭ রান তোলে।
ভারত শেষ পর্যন্ত লড়াই করে ৫ উইকেটে ৩০৬ রান তোলে। টুর্নামেন্টে আগের ছয় ম্যাচে অপরাজিত থাকা ভারতের এই হারে সেমিফাইনালের আশা আক্ষরিক অর্থে দীর্ঘায়িত হলো। হৃদয় ভাঙল ভারতীয় দর্শকদের। সঙ্গে বাংলাদেশ, পাকিস্তান ও শ্রীলংকার সমর্থকরাও আশাহত হয়েছে।
ইংল্যান্ডের হয়ে ইনজুরি থেকে ফেরা জেসন রয় এ ম্যাচে খেলেন ৬৬ রানের ইনিংস। অন্য ওপেনার জনি বেয়ারস্টো করেন ১১১ রান। দশটি চার ও ছয়টি ছক্কা তোলেন তিনি। এছাড়া বেন স্টোকস ৫৪ বলে ৭৯ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন। বড় রান পেতে জো রুটের ৪৪ এবং বাটলারের ২০ রানও অবদান রেখেছে।
বেয়ারস্টোর পাল্টা দিয়েছেন রোহিত শর্মা (১০২) এক সেঞ্চুরি করে। জেসন রয়ের পাল্টা ধরা যায় বিরাট কোহলির ৬৬ রানের ইনিংসটাকে। যদিও ভারতীয় অধিনায়ক বেশ কিছু বল বেশি খেলেছেন। কিন্তু ভারতের কেউ বেন স্টোকস হয়ে উঠতে পারেননি। হার্ডিক পান্ডিয়া তার পাল্টা দিতে শুরু করলেও ৩৩ বলে ৪৫ রান করে আউট হন। এমএস ধোনি শেষ পর্যন্ত ৪২ রানের ইনিংস খেলে হার সঙ্গে নিয়ে মাঠ ছাড়েন। ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামি এ ম্যাচে পাঁচ উইকেট নেন। যদিও বেশ খরুচে ছিলেন তিনি।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০১,২০১৯)