দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বার্মিংহাম থেকে ক্রীড়া প্রতিবেদক: মেলবোর্ন, ঢাকা, বেঙ্গালুরু, কলম্বো, এজবাস্টন, দুবাই।  প্রত্যেক শহরের সঙ্গে বাংলাদেশ ও ভারতীয় ক্রিকেট দলের সঙ্গে নিবিঢ় রসায়ন রয়েছে।

নক আউট পর্বে দুই দল ভিন্ন ফরম্যাটে মুখোমুখি হয়েছে একাধিকবার। কিন্তু ভাগ্যর নির্মম পরিহাসে বাংলাদেশ জিততে পারেনি একবারও। শেষটা তালগোল পাকিয়ে বাংলাদেশ হেরেছে প্রত্যেকটিতে। হারের ক্ষতগুলো এখনও গায়ে লেগে আছে। যেগুলো কষ্ট দেয়, আগুণ জ্বালায়।

দুই বিশ্বকাপের মাঝে বাংলাদেশ পাল্টেছে অনেকটা। বড় দলগুলোর পাশাপাশি বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতেছে ভারতের বিপক্ষেও। কিন্তু দ্বিপাক্ষিক সিরিজ বাদে বাংলাদেশ ভারতকে হারায়নি একবারও। ওই দ্বিপাক্ষিক সিরিজে মুস্তাফিজুর রহমানের মায়াবী বিভ্রমে বিদ্ধ হয়েছিল ভারত। এরপর আর পারেননি। শক্তি ও সামর্থ্যে বাংলাদেশ পিছিয়ে নেই। তবে একধাপ এগিয়ে পারফর্ম করায় ভারত হেসেছে প্রতিটিতে। কখনও শেষ ওভারে, কখনও বা শেষ বলে বাংলাদেশের হৃদয় ভেঙেছে।

বিশ্বকাপের আরেকটি ম্যাচে আজ এজবাস্টনে আবার মুখোমুখি দুই দল। ম্যাচটি বাংলাদেশের জন্য নক আউট। এবার কি পারবে বাংলাদেশ? ‘হয়নি বলে যে হবে না তেমনটা নয়’- জোর গলায় বলেন মাশরাফি। সাথে যোগ করেন,‘আমরা অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী। আমাদেরকে অবশ্যই আত্মবিশ্বাসী থাকতে হবে ইন ফিল্ড ও অফ দ্য ফিল্ডে। ভারত অবশ্যই শক্তিশালী প্রতিপক্ষ। আমরা আমাদের সর্বোচ্চটা দিয়ে চেষ্টা করবো। আমাদেরকে ভুলের পরিমাণ কম করতে হবে। যারা যত কম ভুল করবে তারা জিতবে। ’

২০০৪, ২০০৭; মাশরাফি ভারত বধের বাংলাদেশের নায়ক। বাংলাদেশ যদি সেমিফাইনালে না উঠে তাহলে এটাই হয়তো ভারতের বিপক্ষে মাশরাফির শেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ। শেষ ম্যাচ বলে আবেগতাড়িত হচ্ছেন মাশরাফি,‘পুরোনো স্মৃতি ভালো আত্মবিশ্বাস দেয়। তবে কাল (মঙ্গলবার) আমাদের নতুন ম্যাচ। সেদিকেই আমরা তাকিয়ে আছি। নতুনভাবেই শুরু করতে হবে। নির্ভর করছে আমরা কতটা ভালোভাবে শুরু করতে পারব, তার ওপর।’

ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটি হারলে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ শেষ। জিতলে টিকে থাকবে সেমিফাইনালের লড়াইয়ে। ডু অর ডাই ম্যাচ। ম্যাচটিকে মাশরাফি ব্রিগেড নিচ্ছে চ্যালেঞ্জ হিসেবে,‘হ্যাঁ, এই ম্যাচ হারলে হয়তো বিশ্বকাপ শেষ। তবু আমি ইতিবাচক দৃষ্টিতেই ম্যাচটিকে নিচ্ছি। দারুণ একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছি। এই ম্যাচ জয় বিশ্বকাপেই শুধু নয়, দল হিসেবেও আমাদের পরের ধাপে নিয়ে যেতে পারে। সব বিভাগ একসঙ্গে ঠিক রেখে কম্বিনেশন তৈরি করতে পারি তাহলেই জিততে পারব। এ ধরণের মঞ্চে নিজেদের সেরা ক্রিকেটটা খেলতে পারলেই কেবল ভারতকে হারানো সম্ভব।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০২,২০১৯)