দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: পাবলিক পরীক্ষার দিন কমানো ও তারিখ এগিয়ে আনার জন্য আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের করা প্রস্তাবিত সময়সূচি অনুমোদন করেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। অনুমোদিত নতুন সূচি অনুযায়ী হবে ২০১৯ সালের জেএসসি (জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট) ও সমমান এবং ২০২০ সালের এসএসসি (মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট) ও সমমানের পরীক্ষা।

আগামী ২ নভেম্বর জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ১১ নভেম্বর। প্রতিদিন সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরু হবে।

এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি।

জেএসসির সূচি
২ নভেম্বর বাংলা, ৪ নভেম্বর ইংরেজি, ৫ নভেম্বর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি, ৬ নভেম্বর ইসলাম ও নৈতিক শিক্ষা/হিন্দু ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা/বৌদ্ধ ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা/খ্রিস্ট ধর্ম ও নৈতিক শিক্ষা, ৭ নভেম্বর বাংলাদেশ ও বিশ্ব পরিচয়, ৯ নভেম্বর গণিত এবং ১১ নভেম্বর বিজ্ঞান।

জেএসসি ও সমমানের পরীক্ষার্থীদের নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। সৃজনশীল ও বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় একই উত্তরপত্র ব্যবহার করতে হবে।

শারীরিক শিক্ষা ও স্বাস্থ্য, কর্ম ও জীবনমুখী শিক্ষা, চারু ও কারুকলা, কৃষি শিক্ষা, গার্হস্থ্য বিজ্ঞান, আরবি, সংস্কৃত, পালি বিষয়সমূহে এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করতে হবে। পরীক্ষার্থীর রোল নম্বর পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট কেন্দ্র পরীক্ষা চলাকালীন বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনের মাধ্যমে ধারাবাহিক মূল্যায়নের প্রাপ্ত নম্বর এন্ট্রি করে পাঠাবে।

পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন আগেই সংগ্রহ করবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না।

এসএসসি পরীক্ষা
এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় তত্ত্বীয় বিষয়ের পরীক্ষা আগামী বছরের ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে। শেষ হবে ২২ ফেব্রুয়ারি। ব্যবহারিক পরীক্ষা ২৩ থেকে ২৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে শেষ করতে হবে।

নির্দেশনা
কেন্দ্র সচিব ছাড়া অন্য কোনো ব্যক্তি/পর্রীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে এবং ব্যবহার করতে পারবেন না বলে উভয় পরীক্ষার নির্দেশনায় বলা হয়েছে। পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর ব্যবহার করতে পারবে।

পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষাকক্ষে আসন গ্রহণ ও প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

প্রথমে বহুনির্বাচনি ও পরে সজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা হবে। উভয় পরীক্ষার মধ্যে কোনা বিরতি থাকবে না।

পরীক্ষার্থীরা তাদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানপ্রধানের কাছ থেকে পরীক্ষা আরম্ভের কমপক্ষে তিন দিন আগে সংগ্রহ করবে।

২০১৬-২০১৭, ২০১৭-২০১৮, ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে শারীরিক শিক্ষা, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান ও খেলাধুলা এবং ক্যারিয়ার শিক্ষা বিষয়গুলো এনসিটিবির নির্দেশনা অনুসারে ধারাবাহিক মূল্যায়নের মাধ্যমে প্রাপ্ত নম্বর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রকে সরবরাহ করবে। সংশিষ্ট কেন্দ্ৰ ব্যবহারিক পরীক্ষার নম্বরের সঙ্গে ধারাবাহিক মূল্যায়নে প্রাপ্ত নম্বর বোর্ডের ওয়েবসাইটে অনলাইনে পাঠাবে।

পরীক্ষার্থীকে সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে আলাদাভাবে পাস করতে হবে।

প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল নিবন্ধনপত্রে বর্ণিত বিষয়/বিষয়গুলোর পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে। কোনো অবস্থাতেই ভিন্ন বিষয়ে পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে না।

কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা (সৃজনশীল/রচনামূলক (তত্ত্বীয়), বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক) নিজ বিদ্যালয়ে/প্রতিষ্ঠানে হবে না। পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসনবিন্যাস করতে হবে। ব্যবহারিক পরীক্ষা নিজ নিজ কেন্দ্র/ভেন্যুতে হবে।

পরীক্ষার ফল প্রকাশের সাত দিনের মধ্যে পুনঃনিরীক্ষার জন্য অনলাইনে এসএমএসের মাধ্যমে আবেদন করা যাবে।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৩,২০১৯)