বরিশাল ব্যুরো : বরিশালে বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের বিভাগীয় প্রতিনিধি সভায় আলোচনার অন্যতম বিষয় ছিল ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত বরগুনার রিফাত হত্যা মামলার প্রধান আসামি সাব্বির আহম্মেদ নয়ন ওরফে নয়ন বন্ড। আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের বক্তৃতার বেশিরভাগই ছিল নয়ন বন্ডকে ঘিরে। এছাড়াও আরও দুজন শীর্ষ নেতা তাদের বক্তৃতায় নয়ন বন্ড প্রসঙ্গ টেনে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

প্রতিনিধি সভার প্রধান বক্তা সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, নয়ন বন্ড একদিনে তৈরি হয়নি। রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় না পেলে নয়ন বন্ডরা তৈরি হতে পারে না।

বরগুনা আওয়ামী লীগের নেতাদের উদ্দেশ্য করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, আপনারা কেন খেয়াল রাখেননি?

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরগুনার ঘটনাটি অবগত হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী দেশে আসার পর নয়ন বন্ডের সঙ্গে কারো রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পেলে কঠোর সিদ্ধান্ত নেবেন।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, বরগুনার ঘটনা মেনে নেয়া যায় না। ঘটনার সঙ্গে যাদের সম্পৃক্ততা পাওয়া যাবে, তাদের বিরুদ্ধেই দলীয়ভাবে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আবদুর রহমান বলেন, বরগুনায় ঘটনায় দলের ভাবমূর্তি যারা ক্ষুণ্ন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রতিনিধি সভায় বরগুনার আলোচিত সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু অংশ নিলেও জেলার পক্ষে বক্তব্য দেন বরগুনা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবীর।

তিনি বলেন, বরগুনার ঘটনা আমাদের জন্য লজ্জাজনক। যারা এমন নৃশংস ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের পেছনে যারা আছেন তাদের চিহিৃত করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে করে নয়ন বন্ডরা আর তৈরি হতে না পারে।
(দ্য রিপোর্ট/একেএমএম/জুলাই ০৪,২০১৯)