ফখর জামানকে ফিরালেন সাইফ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান। ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ২৮ রান করেছে পাকিস্তান।
ফখর জামানকে ফিরিয়ে পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভেঙেছেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। অষ্টম ওভারের দ্বিতীয় বলে এই ওপেনারকে পয়েন্টে মেহেদী হাসান মিরাজের ক্যাচ বানান বাংলাদেশি বোলার। ৩১ বলে ১ চারে ১৩ রান করেন ফখর। ইমাম উল হকের সঙ্গে তার জুটি ছিল ২৩ রানের।
শেষ ম্যাচে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশম্যাচটা নিয়মরক্ষকার হলেও বিশ্বকাপে নিজেদের শেষ ম্যাচ বলে কথা। জয়ের তৃপ্তি নিয়ে দেশে ফিরতে চান মাশরাফি মুর্তজারা। শুক্রবার লর্ডসের এই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস হেরে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের ‘অসম্ভব’ লক্ষ্য বাঁচিয়ে রাখতে ব্যাটিং নেওয়ার বিকল্প ছিল না পাকিস্তান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদের কাছে।
একাদশে দুটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। ভারতের বিপক্ষে খেলা সাব্বির রহমান ও রুবেল হোসেন বাদ পড়েছেন, দলে ঢুকেছেন মাহমুদউল্লাহ ও মেহেদী হাসান মিরাজ। চোট নিয়ে শঙ্কা থাকলেও জায়গা ধরে রেখেছেন মুশফিকুর রহিম।
বিশ্বকাপে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা ছিল প্রবল। কিন্ত নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের জয়ে, আর ভারতের কাছে বাংলাদেশ হেরে যাওয়ায় সেই আশা শেষ হয়ে গেছে তাদের! তবে পাকিস্তানের বেলায় জটিল এক সমীকরণে সেই পথটা কিছুটা হলেও উন্মুক্ত! কিন্তু সেই সমীকরণ মেলানো এক কথায় অসম্ভব।
ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে তাই বাংলাদেশ-পাকিস্তানের লড়াইটা আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার হলেও আপাতদৃষ্টিতে তা এখন মর্যাদার লড়াইয়ে রূপ নিয়েছে। লর্ডসে নিজেদের অভিষেক ম্যাচটা তাই জয় দিয়ে রাঙাতে চাইবে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ সময় বিকাল সাড়ে তিনটায় ম্যাচটি শুরু হয়েছে। দেখাচ্ছে মাছরাঙা টেলিভিশন, গাজী টিভি ও স্টার স্পোর্টস ১।
অবশ্য পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটিকে কেবল মর্যাদার লড়াই বলা যাবে না। মাশরাফির শেষ বিশ্বকাপ ও বাংলাদেশের শেষ ম্যাচটি জয়ে রাঙিয়ে দেশে ফেরার মিশনও সাকিবদের সামনে। আর এই কাজটি করতে পারলে পঞ্চম স্থানে থেকে শেষ করার সুযোগ থাকছে টাইগারদের সামনে! পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে কেবল একবারই দেখা হয়েছে বাংলাদেশের। ১৯৯৯ সালে নর্দাম্পটনে শেষ হাসিটা হেসেছিল বাংলাদেশ। এবার তাই শতভাগ সাফল্য নিয়ে ফের বিশ্বকাপের মুখোমুখিতেও পাকিস্তানকে হারানোর দৃঢ় প্রত্যয় বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ একাদশ: মাশরাফি মুর্তজা (অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম (উইকেটরক্ষক), লিটন দাস, মাহমুদউল্লাহ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন, মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান একাদশ: সরফরাজ আহমেদ (অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক), ইমাম উল হক, ফখর জামান, বাবর আজম, মোহাম্মদ হাফিজ, হারিস সোহেল, ইমাদ ওয়াসিম, শাদাব খান, মোহাম্মদ আমির, ওয়াহাব রিয়াজ, শাহীন শাহ আফ্রিদি।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৫,২০১৯)