মাশরাফির ৪ বিশ্বকাপ
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: শুক্রবার লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপে নিজের শেষ ম্যাচটি খেলবেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। বয়স বিবেচনায় এটিই তার শেষ বিশ্বকাপ। জাতীয় দল থেকেও হয়তো বিদায় নেবেন যে কোন সময়।
প্রায় দেড় যুগের ক্যারিয়ারে লাল-সবুজ জার্সি গায়ে খেলেছেন ৪টি বিশ্বকাপ। যার দু’টিতে আবার ছিলেন অধিনায়ক। তার আগে বাংলাদেশের আর কোনো অধিনায়কই গড়তে পারেননি এমন নজির। ২০০৩ বিশ্বকাপ থেকে শুরু। মাঝখানে ২০১১ সালে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলা হয়নি ইনজুরির কারণে। মাশরাফির ক্যারিয়ারের বড় একটি আফসোসের নাম দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ খেলতে না পারা।
বিশ্বকাপে মাশরাফির অভিষেকটা ২০০৩ সালের ওয়েস্ট ইন্ডিজ বিশ্বকাপে কানাডার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে। যেখানে নিজের ব্যক্তিগত তৃতীয় ওভারে এসে কানাডার ব্যাটসম্যান ডেভিসনকে আউট করে বিশ্বকাপ ক্যারিয়ারের প্রথম উইকেট তুলে নেন তিনি। ওই যে শুরু এরপর বিশ্বকাপে এবারের পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচের আগ পর্যন্ত ২৩ ম্যাচ খেলে নড়াইল এক্সপ্রেসের উইকেট সংখ্যা ১৯টি। সেরা বোলিং ৩৮ রানে ৪ উইকেট। বিশ্বকাপে মোট ১৮০ ওভার ২ বল করে পেয়েছেন ১১ মেডেন, ইকোনোমি ৫.৩৫ করে। বিশ্বকাপে সর্বমোট ১০৮২ টি বল করেছেন তিনি, যেখানে হজম করেছেন ৯৬৪ রান।
২০০৭ সালে তার বোলিং তোপেই ভারতকে হারিয়েছে বাংলাদেশ। ওই হারেই বিশ্বকাপের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিশ্চিত হয়েছে ভারতের। ২০১৫ বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে ৩ উইকেট নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন জয়ে।
২৩ ম্যাচের ১৭ ইনিংসে ব্যাট হাতে মাঠে নেমে ৩ বার ছিলেন অপরাজিত, ২ বার আউট হয়েছে শূন্য রানে। করেছেন ১৮৪ রান। ফিল্ডার মাশরাফি ক্যাচ ধরেছেন ৫ টি।
৪ বিশ্বকাপের দুইটিতে (২০১৫ এবং ২০১৯) ছিলেন অধিনায়ক। তার অধিনায়কত্বেই বিশ্বকাপে প্রথমবার নক-আউট পর্বে পৌঁছায় বাংলাদেশ। তার নেতৃত্বে ১২ ম্যাচ খেলে ৬টিতে জয় পেয়েছে টাইগাররা, হেরেছেনও সমান ছয়টি। ১২ ম্যাচের পাঁচটিতে জিতেছেন টস।
একনজরে :
২৩ ম্যাচ, ১৯ উইকেট, ইকোনমি রেট ৫.৩৫, সেরা ৪/৩৮
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৫,২০১৯)