এত অর্জনেও তৃপ্তি নেই মোস্তাফিজের
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: ক্রিকেটের তীর্থস্থান লর্ডসে খেলতে নেমেই ৫ উইকেট পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। যাতে ঐতিহাসিক অনার্স বোর্ডে নাম তুলেছেন তিনি। একই সঙ্গে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ডও গড়েছেন এই পেসার। এত অর্জনেও তৃপ্তি নেই মোস্তাফিজের, দল যে সেমিফাইনাল খেলতে পারেনি।
সেঞ্চুরি কিংবা ৫ উইকেট পেলে লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ডের ড্রেসিংরুমে লিখে রাখা হয় খেলোয়াড়ের নাম। তবে ব্যাপারটি এমন নয় যে, সঙ্গে সঙ্গেই নাম উঠে যাবে। শুক্রবার পাকিস্তানের বিপক্ষে ৫ উইকেট নিয়ে অর্নাস বোর্ডে নাম তোলা ‘ফিজ’ পরেরবার এখানে এলে দেখতে পারবেন নিজের নাম।
ম্যাচ শেষে মিক্সড জোনে সংবাদমাধ্যমকে মোস্তাফিজ বলেছেন, ‘যদি আবার আসি, তখন দেখব।’ শুক্রবারের ম্যাচে কেবল মোস্তাফিজ নন, অর্নাস বোর্ডে নাম উঠেছে পাকিস্তানের দুই ক্রিকেটার ইমাম-উল-হক (১০০ রান) ও শাহীন শাহ আফ্রিদির (৬ উইকেট)।
একটা সময় লর্ডসের অনার্স বোর্ডে টেস্ট ফরম্যাটের সেঞ্চুরিয়ান ও ৫ উইকেট শিকারির নাম লেখা হতো শুধু। চলতি বছরের শুরু থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটের ক্রিকেটেও এই ধারা চালু করেছে মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি)। মোস্তাফিজের আগে দুজন বাংলাদেশির নাম উঠেছে এই বোর্ডে। ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টে ৫ উইকেট নিয়ে প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে অনার্স বোর্ডে নাম তোলেন পেসার শাহাদাত হোসেন। এরপর দ্বিতীয় ইনিংসে তামিম সেঞ্চুরি করে নাম ওঠান খ্যাতির এই তালিকায়।
শুক্রবার পাকিস্তানের ম্যাচের আগে ভারতের বিপক্ষেও ৫ উইকেট নিয়েছিলেন মোস্তাফিজ। সব মিলিয়ে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে ২০ উইকেট নিয়ে এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি তিনি। এরপরও নিজের পারফরম্যান্সে সন্তুষ্ট নন ‘কাটার মাস্টার’! উইকেট পেলেও কিছুটা বাড়তি রান খরচ করেছেন মোস্তাফিজ। বোলিংয়ে ইকোনমি রেট বেশি হওয়াতে কিছুটা হতাশ তিনি, ‘সবাই বলছে প্রমাণ করতে পেরেছি, কিন্তু আমি খুশি না। রানটা যদি কম দিতাম, তাহলে ভালো হতো।’
বিশ্বকাপ শেষে মোস্তাফিজের উপলব্ধি যথেষ্ট আশাব্যঞ্জক। নিজের ভুলগুলো বুঝতে পেরে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে তিনি, ‘ভ্যারিয়েশন আরেকটু ভালো হতে পারতো। কাটার আছে, ইয়র্কার ফিফটি-ফিফটি পেরেছি। অ্যাকুরেসি আরেকটু ভালো হলে ডেথ ওভারে আরও ভালো করতে পারব।’
বাংলাদেশের প্রথম ও বিশ্বের চতুর্থ দ্রুততম বোলার হিসেবে ১০০ উইকেট শিকারি বোলার এখন মোস্তাফিজ। এই অর্জনের পরও দলের পারফরম্যান্স ভালো না হওয়াতে খুশি হতে পারছেন না তিনি, ‘আরও ভালো করা যেতো। দল ভালো না করলে ব্যক্তিগত সাফল্য কিছু নয়। সেমিফাইনাল খেলতে পারলে খুশি হতাম।’
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৬,২০১৯)