ডিএসইর মূল্য আয় অনুপাত পরিবর্তিত
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবসেই দেশের শেয়ারবাজারে মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। তবে লেনদেন হওয়া যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে তার থেকে মাত্র একটি বেশি। দাম বাড়া ও কমার এমন চিত্রের কারণে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও) আগের সপ্তাহের অবস্থানেই রয়েছে। সার্বিক পিই রেশিও অপরিবর্তিত থাকলেও খাতভিত্তিক পিই পরিবর্তন হয়েছে।
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজার নিম্নমুখী থাকায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমেছে ৪৯ দশমিক ২৬ পয়েন্ট বা প্রায় এক শতাংশ। প্রধান সূচকের পাশাপাশি পতন হয়েছে অপর দুই সূচকেরও। সূচকের এ পতনের মধ্যেও বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেয়া ৪৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে। কমেছেও ৪৭ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম।
সবকটি মূল্য সূচকের পতনের পরও ডিএসইর সার্বিক পিই রেশিওতে কোনো নড়চড় হয়নি। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৪ দশমিক ১৮ পয়েন্ট। যা সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসের লেনদেন শেষেও ১৪ দশমিক ১৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, বরাবরের মতো সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ৯ দশমিক ৩৮ পয়েন্টে, যা আগের সপ্তাহে ছিল ৯ দশমিক ৫৫ শতাংশ। অর্থাৎ ব্যাংক খাতের পিই আগের সপ্তাহের তুলনায় দশমিক ১৭ শতাংশ কমেছে।
দ্বিতীয় স্থানে থাকা বীমা খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৩ দশমিক ১৮ পয়েন্টে। আগের সপ্তাহে এ খাতের পিই রেশিও ছিল ১৩ দশমিক শূন্য ৪ পয়েন্টে। অর্থাৎ গত সপ্তাহে বীমা খাতের পিই রেশিও আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে দশমিক ১৪ শতাংশ।
সার্বিক পিই রেশিও অপরিবর্তিত থাকলেও ব্যাংক, বীমার মতো সবকটি খাতেরই পিই রেশিও পরিবর্তন হয়েছে। বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের পিই রেশিও ১৩ দশমিক ৩১ পয়েন্ট থেকে কমে দাঁড়িয়েছে ১৩ দশমিক ১৫ পয়েন্টে।
পিইও রেশিও কমা খাতগুলোর মধ্যে খাদ্য খাতের ১৩ দশমিক ৮০ পয়েন্টে থেকে কমে ১৩ দশমিক ৫৫ পয়েন্ট, টেলিযোগাযোগ খাতের ১৪ দশমিক ২৪ পয়েন্ট থেকে কমে ১৩ দশমিক ৯৮ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭ দশমিক শূন্য ১ পয়েন্ট থেকে কমে ১৬ দশমিক ৯৯ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ১৯ দশমিক শূন্য ৭ পয়েন্ট থেকে কমে ১৮ দশমিক ৫৮ পয়েন্টে এবং আর্থিক খাতের ১৯ দশমিক ২৫ পয়েন্ট থেকে কমে ১৯ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
পিইও রেশিও কমলেও বাকি খাতগুলোর পিইও এককভাবে ২০ পয়েন্টের ওপরে রয়েছে। এর মধ্যে ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২২ দশমিক ২৫ পয়েন্ট থেকে কমে ২১ দশমিক ৯৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্ট থেকে কমে ২৩ দশমিক ৮০ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ২৬ দশমিক ৮০ পয়েন্ট থেকে কমে ২৬ দশমিক ৪০ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ৩২ দশমিক ৬২ পয়েন্ট থেকে কমে ৩২ দশমিক ৩৩ পয়েন্টে এবং পাট খাতের পিই ৪৯৫ দশমিক ৯৩ পয়েন্ট থেকে কমে ৪৭৪ দশমিক ৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
অপরদিকে পিই রেশিও বাড়া খাতগুলোর মধ্যে প্রকৌশল খাতের ১৫ দশমিক ৯৯ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৬ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৬ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৭ দশমিক শূন্য ৮ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৮ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৮ দশমিক ৭৪ পয়েন্টে, তথ্য প্রযুক্তি খাতের ১৯ দশমিক ৪৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ১৯ দশমিক ৯৬ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৩৫ দশমিক ৯৭ পয়েন্ট থেকে বেড়ে ৩৭ দশমিক ৯৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ০৬,২০১৯)