যাবজ্জীবন মানে কত বছর: রায় যে কোন দিন
দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস কি না? এ বিষয়ে করা রিভিউ আবেদনের শুনানি বৃহস্পতিবার শেষ হয়েছে। ফলে এ নিয়ে যেকোনো দিন রায় ঘোষণা হতে পারে।
প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে হাইকোর্টের আপিল বিভাগের সাত সদস্যের বেঞ্চে রায় ঘোষণার জন্য অপেক্ষমাণ রাখা হয়েছে।
এর আগে আদালতের রায়ে ‘যাবজ্জীবন দণ্ড পাওয়া মানে আমৃত্যু কারাবাস’ এমন অভিমত দিয়ে আপিল আদালতের রায়ের পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে করা এক আসামির আবেদনের শুনানি আজ (১১ জুলাই) পর্যন্ত মুলতবি করেছিলেন সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ।
গত ১১ এপ্রিল এ সংক্রান্ত আপিল বিভাগের রায়ের বিরুদ্ধে করা রিভিউ শুনানিতে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ হবে কি না সে বিষয়ে আইনি মতামত তুলে ধরতে চার সিনিয়র আইনজীবীকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে নিয়োগ দেন আদালত।
এই চার আইনজীবী হলেন- ব্যারিস্টার রোকন উদ্দিন মাহমুদ, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এফ হাসান আরিফ, অ্যাডভোকেট আবদুর রেজাক খান ও মুনসুরুল হক চৌধুরী।
মুনসুরুল হক চৌধুরী আসামিপক্ষের আইনজীবী হওয়ায় তিনি অ্যামিকাস কিউরি হিসেবে আপত্তি জানালে তার পরিবর্তে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট এ এম আমিন উদ্দিনকে সংযুক্ত করা হয়।
২০০১ সালে গাজীপুরে জামান নামের এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার মামলার চূড়ান্ত রায়ে ‘যাবজ্জীবন মানে আমৃত্যু কারাবাস’ সর্বোচ্চ আদালতের এই পর্যবেক্ষণ আসে। ওই ঘটনায় নিহতের বাবা সিরাজুল ইসলাম গাজীপুর মডেল থানায় এই হত্যা মামলা দায়ের করেন।
দ্রুত বিচার আদালত ২০০৩ সালে এ মামলার রায়ে তিন আসামি আনোয়ার হোসেন, আতাউর রহমান ও কামরুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ড দেন। হাইকোর্টেও সর্বোচ্চ সাজার রায় বহাল থাকে।
এরপর আসামি আনোয়ার ও আতাউর সাজা কমানোর জন্য আপিল বিভাগে আবেদন করেন। কামরুল পলাতক থাকায় আপিলের সুযোগ পাননি। দুই আসামির আপিল শুনানি করে ২০১৭ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় দেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা নেতৃত্বাধীন চার বিচারকের আপিল বেঞ্চ, যা আমৃত্যু কারাবাস হিসেবে গণ্য হবে। ওই বছরের ২৪ এপ্রিল আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশিত হয়।
এতে বলা হয়, দণ্ডবিধির ৫৩ ধারা ও ৪৫ ধারা অনুযায়ী যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হবে আমৃত্যু কারাবাস। এর ফলে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত সবাইকে আমৃত্যু কারাগারে থাকতে হবে বলে ওই সময় জানান অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। পরে আপিল বিভাগের দেয়া এই রায়ের বিরুদ্ধে আসামি আতাউর মৃধা পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১১,২০১৯)