এবারও মেয়েদের পাসের হার বেশি
দ্য রিপোর্ট ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এবারও আমাদের ছাত্রীদের পাসের হার একটু বেশি। জেন্ডার সমস্যা বিশ্বব্যাপী প্রচলিত। এখন আমাদের বলতে হয়, আমাদের ছাত্রদের পাসের হার আরও বাড়াতে হবে, যেন জেন্ডার সমতা এসে যায়। তিনি বলেন, ‘এ বছর পাসের হার ৭৩.৯৩ ভাগ। এটা ভালো। আশা করি, সামনে পাসের হার আরও বাড়বে।’
বুধবার (১৭ জুলাই) গণভবনে এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল, শিক্ষার্থীদের পরীক্ষা ও ফল দুটোই যেন সময়মতো হয়, যাতে তাদের সময় নষ্ট না হয়। তারা যেন সময়মতো ভর্তি হতে পারে। এর জন্য ৬০ দিনের সময় বেঁধে দিয়েছিলাম। এর মধ্যেই পরীক্ষার ফল দিতে হবে এবং তা সময়মতোই হয়েছে। এর জন্য প্রতিটি বোর্ড, শিক্ষক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে আমি ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘আমরা প্রযুক্তি ও কারিগরি শিক্ষার ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। তার সুফলও আমরা পেয়েছি। শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মান উন্নয়নে আমরা কাজ করে যাচ্ছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘একটা সমাজকে উন্নত করতে হলে, একটি দেশকে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত এবং উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে হলে শিক্ষাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। একটি শিক্ষিত জাতিই পারে দেশকে দারিদ্র্য, ক্ষুধামুক্ত ও উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলতে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, যাবে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল। এই গতি আমাদের ধরে রাখতে হবে।’
এর আগে বুধবার সকাল ১০টায় গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে ফলাফলের অনুলিপি আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। এ সময় দেশের সব শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।
এবার পরীক্ষা শেষের ৫৫ দিনের মাথায় ফল প্রকাশ করা হলো। আটটি সাধারণ, মাদ্রাসা ও কারিগরিসহ ১০টি শিক্ষাবোর্ড থেকে এ বছর ১৩ লাখ ৩৬ হাজার ৬২৯ শিক্ষার্থী অংশ নেয়। এর মধ্যে পাস করেছে ৯ লাখ ৮৮ হাজার ১৭২ জন। ৮টি সাধারণ বোর্ডে পাসের পার ৭১.৮৫ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১ হাজার ৮০৭ জন। মাদ্রাসা বোর্ডে পাসের হার ৮৮.৫৬ শতাংশ এবং জিপিএ-৫ পেয়েছে দুই হাজার ২৪৩ জন। আর কারিগরি শিক্ষা বোর্ডে পাসের হার ৮২.৬২ শতাংশ এবং জিপিএ ৫ পেয়েছে তিন হাজার ২৩৬ জন।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১
,২০১৯)