ধর্ষণের পর চাকরি দিতে না পেরে বিয়ের আশ্বাস
পটুয়াখালী প্রতিনিধি: সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলে এক তরুণীকে ধর্ষণ করেছে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের এক সহকারী। তার নাম নাজির সাব্বির হোসেন।
এ ঘটনায় নাজির সাব্বির হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা হয়েছে। আদালতের নির্দেশে বৃৃৃহস্পতিবার দুপুরে মামলাটি গ্রহণ করে পটুয়াখালী সদর থানা পুলিশ।
এর আগে বুধবার দুপুরে পটুয়াখালীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদন করেন ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা। পরে সদর থানা পুলিশকে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন আদালত।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১ মে পটুয়াখালী শহরের ছোট চৌরাস্তা এলাকার এক তরুণীকে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসেবে চাকরি দেয়ার কথা বলে বাসায় ডেকে ধর্ষণ করে সাব্বির হোসেন। ধর্ষণের পরও ওই তরুণীকে চাকরি দেয়া হয়নি। তরুণী চাকরির কথা বললে এড়িয়ে যায় সাব্বির।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, গত ২৪ জুন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক নিয়োগের পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করে তরুণীকে পাস করানো হবে বলে আশ্বাস দেয় সাব্বির। কিন্তু তাও করেনি। এ অবস্থায় ১৫ জুলাই রাতে ক্ষোভে আত্মহত্যার চেষ্টা করে তরুণী। গুরুতর অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে পটুয়াখালী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তরুণীর আত্মহত্যার চেষ্টার বিষয়টি জেনে বিয়ের আশ্বাস দেয় সাব্বির। পরে বিয়ে করা নিয়েও সাব্বির টালবাহানা শুরু করে। উপায় না পেয়ে বুধবার আদালতে মামলার আবেদন করেন ধর্ষণের শিকার তরুণীর বাবা। বর্তমানে পটুয়াখালী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে তরুণী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, চাকরি দেয়ার কথা বলে ওই তরুণীকে ধর্ষণ করেছে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী নাজির সাব্বির হোসেন। তরুণীর বাবা আদালতে মামলার আবেদন করলে মামলাটি গ্রহণের নির্দেশ দেন বিচারক। আমরা মামলাটি গ্রহণ করেছি। ধর্ষণে জড়িত সাব্বির হোসেনকে গ্রেফতার করা হবে।
(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১
,২০১৯)