দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: হজে যেতে বিশ্বাস করে টাকা দিয়েছেন মধ্যস্বত্তভোগীকে। কিন্তু তাদের প্রায় এক কোটি টাকা নিয়ে লাপাত্তা শরীয়তপুরের তাজুল ইসলাম নামে ফারিহা ওভারসিজ হজ এজেন্সির এক কর্মী। এজেন্সিটির মালিকের দাবি, ভুয়া রশিদ দিয়ে তারও ২২ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন ওই ব্যক্তি।

হজ সামর্থ্যবান প্রত্যেক মুসলমানের জন্য ফরজ ইবাদত। জীবদ্দশায় একবার হজে যাওয়ার স্বপ্ন দেখেন প্রায় সব মুসলমান। শরীয়তপুর পালং উপজলোর ভাইস চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ তালুকদার তেমনই একজন। হজে যাবেন বলে বিশ্বস্ত ভেবে টাকা তুলে দিয়েছিলেন, স্থানীয় এক ব্যক্তির হাতে। কিন্তু অন্যরা যখন সৌদিআরবে যাবার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত, তখন তার চেয়ে দেখা ছাড়া কোনো উপায় নেই।

স্থানীয়রা জানান, শরীয়তপুর মাদারিপুরে যারা হজে যান, তাদের নানাভাবে সহায়তা করে বেশ সুনাম কামিয়েছিলেন তাজুল ইসলাম। আর এ সুযোগেই পাতেন প্রতারণার ফাঁদ। হজে যেতে ইচ্ছুক এমন প্রায় ৪০ জনের কাছ থেকে কোটি টাকা নিয়ে হয়েছেন উধাও। তার এ প্রতারণার হাত থেকে রেহাই পাননি স্থানীয় থানার সাবেক ওসিও।

তাজুল ইসলাম ফারিহা ওভারসিজ নামে একটি হজ এজেন্সিতে কাজ করতেন। প্রতিষ্ঠানটির মালিক জানান, তারও ২২ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়েছে তাজুল।

হাবের সভাপতি বলছেন, সরাসরি এজেন্সির একাউন্টে টাকা দিলে এভাবে প্রতারিত হতেন না তারা। আর হজ অফিসের পরিচালক জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে প্রতারক যেই হোক তার ছাড় নেই।

এ বছর এখন পর্যন্ত হজযাত্রা নির্বিঘ্ন হলেও, বিষাদ ছড়িয়েছে শরীয়তপুরের এ প্রতারণার গল্প।

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১৯,২০১৯)