দ্য রিপোর্ট প্রতিবেদক: আশাটা বেশ বড় ছিল। বাংলাদেশ দলের গত কয়েক বছরের যা পারফরম্যান্স তাতে বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল পেরিয়ে অনেকে আবার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্নও দেখে ফেলেছিলেন। তবে বাস্তবতার নিরিখে চিন্তা করলে সেরা পাঁচ দলের মধ্যে থেকে শেষ করার ভালো সুযোগ ছিল টাইগারদের। সেটাও হয়নি।

শেষটায় এসে পাকিস্তানের কাছে নাকাল হয়ে অষ্টম স্থানে থেকে শেষ করতে হয়েছে বাংলাদেশকে। সাফল্যের চেয়ে তাই ব্যর্থতা নিয়েই কথা হচ্ছে বেশি। যার দায়ভার সবচেয়ে বেশি নিতে হচ্ছে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে।

অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফি বরাবরই সফল, বিশ্বকাপে দলের আশা পূরণ না হলেও তার নেতৃত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলবেন না কেউ। তবে পারফরমার মাশরাফির কথা বললে হয়তো ‘দশে এক’ পাওয়াও কঠিন হয়ে যাবে। নড়াইল এক্সপ্রেস পুরো বিশ্বকাপ জুড়েই ছিলেন নিজের ছায়া হয়ে। আট ম্যাচ খেলে সাকুল্যে পেয়েছেন একটি মাত্র উইকেট।

বিশ্বকাপ শেষ হতে না হতেই শ্রীলঙ্কা সফর বাংলাদেশের। সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে শনিবার দেশ ছাড়বে টাইগাররা। তার আগে দলের সংবাদ সম্মেলনে বিশ্বকাপ ও আসন্ন সিরিজ নিয়ে কথা বললেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।

বিশ্বকাপের পারফরম্যান্স নিয়ে বলতে গিয়ে কণ্ঠে একরাশ হতাশাই ঝরে পড়ল টাইগার অধিনায়কের। তিনটি জয় পেলেও তিনি মনে করেন, টুর্নামেন্টে ব্যর্থই হয়েছে বাংলাদেশ।

দায় এড়ানোর চেষ্টা না করে নিজের কাঁধেই সব দোষ নিয়ে নিলেন। বিশ্বকাপের ব্যর্থতা নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘সত্যি করে বলতে আমি আপসেট। ভীষণ আপসেট। অনেকেই হয়তো বলবেন, এটা নিয়ে মন খারাপ না করতে, মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলতে। তবে যদি বলি মন খারাপ হয়নি, এটাই হবে লজ্জার কথা। অবশ্যই মন খারাপ হয়েছে। আমার দুটি দায়িত্ব ছিল, অধিনায়ক আর পারফরমার হিসেবে। পারফরমার হিসেবে কিছুই করতে পারিনি।’

টাইগার দলপতি বিশ্বকাপের সময় পুরোপুরি ফিটও ছিলেন না। মাঠের পারফরম্যান্সে সেটাও স্পষ্ট হয়েছে। তবে সংবাদ সম্মেলনে এই মাশরাফিকে অনেকটাই প্রাণবন্ত মনে হলো, বেশ সতেজ লাগছিল নড়াইল এক্সপ্রেসকে। চোটের অবস্থা এখন কি? এমন প্রশ্নে মাশরাফি বলেন, ‘বিশ্বকাপের পর দুইদিন অনুশীলন করেছি, তেমন কোনো ব্যথা হয়নি।’

(দ্য রিপোর্ট/আরজেড/জুলাই ১৯,২০১৯)